ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে রাতভর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৪৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় একটি হাসপাতাল। ইন্দোনেশিয়ার সহায়তায় পরিচালিত ওই হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিহত ৪৮ জনের মধ্যে ২২ জন শিশু ও ১৫ জন নারী।
তেল আবিবের চালানো এসব হামলায় জাবালিয়া শহর ও শরণার্থী শিবিরের একাধিক বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে বলে খবর দিয়েছে বিবিসি। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সেখানে অন্তত এক ডজন মরদেহ মাটিতে পড়ে আছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার হামাস যোদ্ধারা রকেট ছোড়ার পর তারা পাল্টা অভিযান শুরু করে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে জাবালিয়া ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তারা।
এ হামলা এমন সময় চালানো হলো, যখন জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের প্রতি গাজায় গণহত্যা প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার নিউইয়র্কে এক সভায় বক্তব্য রাখার সময় টম ফ্লেচার ইসরায়েলকে বেসামরিক জনগণের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে অমানবিক অবস্থা চাপিয়ে দেয়ার অভিযোগ করেন। তিনি গাজার ওপর চলমান ১০ সপ্তাহব্যাপী অবরোধ তুলে নেয়ার দাবি জানান এবং গাজায় ত্রাণ বিতরণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের প্রস্তাবিত পরিকল্পনার সমালোচনা করেন।
অন্যদিকে, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন দাবি করেন, বিদেশী সহায়তারেক হামাস নিজেদের পক্ষে ব্যবহার করছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও অ্যাডাম বোহলার জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা করতে তারা কাতার সফরে যাবেন।
এছাড়া গাজায় হামাসের হাতে থাকা ৫৮ জন জিম্মিকে মুক্তি না দিলে অভিযান আরো সম্প্রসারণের হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।