গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের জেগে উঠার ডাক দিয়েছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী রাফাহ শহরের একটি পরিকল্পিত নিরাপদ অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের একটি তাঁবুতে বোমা হামলা চালিয়ে অন্তত ৩৫ জনকে হত্যা করেছে। এরপরই এমন আহ্বান জানাল সংগঠনটি।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, হামলায় কমপক্ষে ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের অনেকেই নারী ও শিশু।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, হামলার পর তাঁবুতে আগুন ধরে যায়। এতে অনেকে আগুনে পুড়ে মারা গেছে।
এছাড়া তাল-আস-সুলতান এলাকাতেও হামলা হয়েছে। সবমিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনী জাবালিয়া, নুসেইরাত এবং গাজা সিটিসহ অন্যান্য এলাকায় উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্রে বোমাবর্ষণ করেছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব হামলায় কমপক্ষে ১৬০ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে হামাস বলেছে, ফিলিস্তিনিদের অবশ্যই গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাতে ইসরাইলি বাহিনীর ‘গণহত্যার’ বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
ওদিকে, ইসরায়েল গত সোমবার জানিয়েছে, তারা জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে নামাজ পড়তে দেবে। তবে নিরাপত্তা পরিস্থিতির বিবেচনায় কিছু বিধিনিষেধ বহাল রাখবে।
গত সপ্তাহে প্যারিসে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় ইসরায়েল ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। হামাস এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পর্যালোচনা করে দেখছে। এটি বাস্তবায়িত হলে ৫ মাসের গাজা যুদ্ধে এটিই হবে প্রথম দীর্ঘ যুদ্ধবিরতি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।