জনতা ব্যাংক পিএলসিতে ডিএমডি হলেন আশরাফুল আলম

আগের সংবাদ

নির্বাচন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না করেই ডাকসুর টাইমলাইন ঘোষণা

পরের সংবাদ

সুদানে বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত ৪০০ জনেরও বেশি: জাতিসংঘ

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২৫ , ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ আপডেট: এপ্রিল ১৫, ২০২৫ , ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ

সংস্থাটি এটিকে “বিশ্বস্ত সূত্র” থেকে পাওয়া তথ্য হিসেবে উল্লেখ করেছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত সপ্তাহে দারফুরের এল-ফাশের শহরের আশপাশে থাকা শরণার্থী শিবিরগুলোর ওপর ভয়াবহ স্থল ও বিমান হামলা চালায় আরএসএফ। তাদের লক্ষ্য ছিল এল-ফাশের দখল নেওয়া। মূলত এই শহরটি এখনও সুদানের সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা দারফুর অঞ্চলের শেষ বড় শহর।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে ক্ষমতা দখলের জন্য ভয়াবহ লড়াই চলছে। এই সংঘাত বিশ্বে সবচেয়ে বড় মানবিক সংকটের জন্ম দিয়েছে, ঘরছাড়া করেছে কোটি কোটি মানুষকে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ১৪৮টি মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করতে পেরেছে, তবে প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়েও অনেক বেশি হতে পারে।

জাতিসংঘের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বিবিসিকে জানান, তাদের তথ্য যাচাই প্রক্রিয়া এখনও চলছে এবং এ সংখ্যার মধ্যে রোববারের সহিংসতার তথ্য অন্তর্ভুক্ত নয়। তিনি বলেন, “বিশ্বস্ত সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে নিহতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে।”

নিহতদের মধ্যে অন্তত ৯ জন ত্রাণকর্মী রয়েছেন বলেও জাতিসংঘ জানিয়েছে।

বিবিসি বলছে, এল-ফাশের আশপাশে অবস্থিত জামজাম ও আবু শৌক শরণার্থী শিবিরগুলোতে ৭ লাখেরও বেশি মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন, যাদের অনেকেই দুর্ভিক্ষের মতো চরম সংকটে দিন কাটাচ্ছেন।

শনিবার এক বিবৃতিতে আরএসএফ দাবি করে, তারা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালায়নি, বরং জামজামে ঘটে যাওয়া সহিংসতার দৃশ্যগুলো সাজানো হয়েছে তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য।

তবে পরদিন আরএসএফ-ই আবার ঘোষণা করে— তারা “সফলভাবে শিবিরটি মুক্ত করেছে” এবং দাবি করে, সেনাবাহিনী জামজাম শিবিরকে সেনাঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল এবং সাধারণ মানুষদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছিল।

এল-ফাশের শহরটি দারফুরে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা শেষ প্রধান শহর। আরএসএফ প্রায় এক বছর ধরে এই শহরটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আগামী মঙ্গলবার গৃহযুদ্ধটি তৃতীয় বছরে পা দিচ্ছে।

জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক সব পক্ষকে “অবশ্যই বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করে সংঘাত সমাধানে এগিয়ে আসার” আহ্বান জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়