99% шансов на победу – попробуй Plinko с RTP 99% от BGaming и получи возможность увеличить банкролл в 1000 раз с настраиваемым уровнем риска и линиями выплат, где каждый бросок приближает к крупному выигрышу.

আগের সংবাদ

শেখাটি আদর্শপাড়ায় রাস্তার উপর সুয়ারেজ লাইনের বর্জ্য, বিপাকে এলাকাবাসি

পরের সংবাদ

ইবি উপ-উপাচার্যের ডিগবাজীর ভিডিও ভাইরাল, ট্রলের শিকার

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫ , ৬:৫০ অপরাহ্ণ আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫ , ৬:৫০ অপরাহ্ণ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলীর ডিগবাজী খাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়। এতে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের ফেসবুকে ভিডিওটি পোস্ট করে তার ক্যাপশনে উপ-উপাচার্যকে ট্রল করে বিভিন্ন ক্যাপশন দিচ্ছেন।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সাদ্দাম হোসেন হলের সামনের মাঠে আয়োজিত ‘নাইট ক্রিকেট’ টুর্নামেন্টে অতিথি হিসেবে আসেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী। এসময় উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের ক্রিকেট খেলার ১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে উপাচার্যের বিরুদ্ধে উপ-উপাচার্যকে বল করতে দেখা যায়। এসময় দৌঁড়ে এসে বল ছোড়ার সময় মাটিতে উল্টে পড়ে যান তিনি। পরে আশেপাশে থাকা শিক্ষার্থীরা তাকে মাটি থেকে তোলেন।

এদিকে ভিডিওটি ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনা ও ট্রলের মুখে পড়েন উপ-উপাচার্য। শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের কাছ থেকে বারবারই হাস্যরসাত্মক এমন কর্মকান্ডে বিব্রত বলে দাবি করেছেন। ভিডিওটি শেয়ার করে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ঠিক এভাবেই একদিন থুবড়ে পড়বেন। সাবেক ইবিয়ান হিসেবে আমরা লজ্জিত হচ্ছি। ফুটেজ খাওয়া, যাত্রাপালা আর চেতনা বেচার জন্য আপনাদের বসানো হয়নি।

ফেসবুকে ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে ট্রল করে অপর এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গান থেকে শুরু করে ক্রিড়াঙ্গনে আপনার মতো যোগ্য স্যারের অভাব ছিলো। আপনি সাবেক ইবিয়ানদের জন্য গৌরবের বিষয়। আমরা যখনই মন খারাপ করি তখনই আপনি আমাদের জন্য মন ভালো করার জন্য উদাহরণ হিসাবে চলে আসেন।

এর আগে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের আয়োজনে বসন্ত উৎসবে ‘বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে’ গান গেয়ে প্রথম সমালোচনায় আসেন। এরপর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনা ও ট্রলের শিকার হন উপ-উপাচার্য। পরবর্তীতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আবারও বাংলা বিভাগের আয়োজনে ‘একুশের কথা ও কবিতা’ অনুষ্ঠানে ‘আমার বন্ধু দয়াময়’ গান গেয়ে দ্বিতীয় দফায় সমালোচনার মুখে পড়েন। ওই গানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের নেতিবাচক মন্তব্যে ভরে যায়। পরবর্তীতে ‘তিনি আর গান গাইবেন না’ বলে গণমাধ্যমে বক্তব্যও দেন।

এদিকে উপ-উপাচার্য হয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসকের পদ আঁকড়ে রেখেছেন তিনি। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবাহী একটি বাস দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে উপ-উপাচার্যকে পরিবহন পদ থেকে পদত্যাগ সহ তিন দফা দাবিতে মঙ্গলবার রাতে সমাবেশ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। পরে বুধবার দুপুরে একই দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ড. ইউনুস যদি একসঙ্গে সতেরোটা মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করতে পারে তাহলে আমি মাত্র দুইটি পদের দায়িত্ব পালন করলে কি দোষ? উপাচার্য আমাকে যে দায়িত্ব দিবে তা পালন করতে আমি বাধ্য। আমাকে যদি আরও দায়িত্ব দেওয়া হয় তাও পালন করতে আমি প্রস্তুত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়