কোটচাঁদপুরে মুক্তা গবেষণাগার পরিদর্শন করলেন এডিশনাল ডিআইজি

আগের সংবাদ

দোকান বরাদ্দের নামে দুই কোটি টাকার অর্থ বানিজ্য, প্রতিবাদে মানববন্ধন

পরের সংবাদ

কপিলমুনিতে মহাবারুণী স্নান উপলক্ষ্যে মেলা আয়োজক কমিটি গঠন

প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৪ , ৭:৪৯ অপরাহ্ণ আপডেট: মার্চ ১৯, ২০২৪ , ৭:৪৯ অপরাহ্ণ

কপিলমুনিতে মহাবারুণী স্নান উৎসবকে ঘিরে এবার মহাবারুণী মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মধুকৃষ্ণা তেরদশীতে কপিলেশ্বরী কালী ঘাটে স্নান উৎসব অনুষ্ঠিত হলেও মূলত মহাবারুণী মেলার পসরা বসবে ঈদুল ফিতরের পরের দিন থেকে। ইতোমধ্যে মেলার অনুমতিসহ নানা বিষয়ে স্থানীয় পর্যায়ে সুধী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেলা উদযাপন কমিটির পাশাপাশি রঙ্গীন নাট্য মঞ্চ সাজাতে উপ-কমিটি করা হয়েছে।

এবারে মেলায় এমপি রশীদুজ্জামানকে প্রধান পৃষ্ঠপোষক, কপিলমুনি কপিলেশ্বরী কালী মন্দিরের সভাপতি চম্পক কুমার পালকে সভাপতি, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দ্দারকে সদস্য সচিব ও কপিলমুনি পুলিশিং কমিটির সভাপতি সাধন কুমার ভদ্রকে কোষাধক্ষ্য করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি, ২১ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ ও ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট মেলা উদযাপন কমিটি করা হয়েছে। মেলার সার্বিক পরিচালনায় রয়েছেন, কপিলমুনি কেকে এসপির সাধারণ সম্পাদক এম বুলবুল আহমেদ ও বণিক সমিতির সদস্য সচিব এম মাহমুদ আসলাম। এছাড়াও রয়েছেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, শেখ বজলুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন খোকন ও শেখ বেনজীর আহমেদ বাচ্চু। অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন, জি এম হেদায়েত আলী টুকু, শেখ আব্দুস সালাম, এম আজাদ হোসেন, রফিকুল ইসলাম খান, মুস্তাফিজুর রহমান পারভেজ, প্রভাষক রেজাউল করিম খোকন, জগদীশ দে, শেখ দীন মাহমুদ, বিধান চন্দ্র ভদ্র, নির্মল কুমার মজুমদার, সরদার মোজাফ্ফর হোসেন, মিলন দাশ, রাম প্রসাদ পাল, ত্রিদিব কান্তি মন্ডল, হিমাদ্রী শেখর দে, বিপ্লব সাধু, অজয় সাধুসহ উপদেষ্টা পরিষদ ও ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট মহাবারুণী মেলা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।

এবারের আয়োজন মেলায় থাকছে, উন্মক্ত মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সার্কাস, যাদু প্রদর্শনী, পুতুল নাচ ও সামাজিক যাত্রা অনুষ্ঠান। এ ব্যাপারে মাহমুদ আসলাম বলেন, এবারের মেলায়, প্রতিকূল পরিবেশ অনুকূলে থাকলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর কপিলমুনিতে অনুষ্ঠিত মেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গণের আলো ছড়াবে দেশব্যাপী। আর এ মহাবারুণী স্নান ও মেলার মাধ্যমে দক্ষিণ খুলনার কপিলমুনি ফিরে পাবে তার পুরাতন ঐতিহ্য।

উপরোক্ত মহাবারুণী মেলা বিষয়ে, মেলা কমিটির সভাপতি চম্পক পাল ও কোষাধক্ষ্য সাধন কুমার ভদ্র বলেন, আধুনিক কপিলমুনির রুপকার স্বর্গীয় রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর একান্ত চেষ্টা ও অকৃত্রিম ভালবাসা দিয়ে অতি সুনিপুন ভাবে বাংলা ১৩৩৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন এই বাজারটি। তাই তারই নামানুসারে নামকরণ হয় বিনোদগঞ্জ। যেটি এখন কপিলমুনি নামে পরিচিত। কিন্তু পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির এই মহাবারুণী মেলার জাতীয় স্বীকৃতি নেই। এলাকাবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মহানুভবতার দৃষ্টিতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

মার্চ ১৯, ২০২৪, at ১৯:০৯ (GMT+06) রূপ্র/আক/ঢাঅ/আ.হা.

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়