বেনাপোল বন্দরের ১১ জন প্রবীন শ্রমিককে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ২০ হাজার অনুদান দিয়ে সহয়তা করেছেন ৯২৫ হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন।
বৃহস্পতিবার (২৫ শে সেপ্টেম্বর) ৯২৫ এর কার্যালয়ে সাধারন সভায় এই অর্থ প্রবীন শ্রমিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
উপজেলা বিএনপির শ্রম বিষয়ক ও ৯২৫ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদ আলী জানান, বেনাপোল বন্দরের শ্রমিকেরা আগে বিভিন্ন ভাবে অবহেলিত ছিল। তিনি দায়িত্ব গ্রহন করে শ্রমিক নেতাদের সাথে নিয়ে শ্রমিক কল্যানে নানান কাজ করে যাচ্ছেন। এ কাজের অংশ হিসাবে প্রবীন ১১ জন শ্রমিককে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে এই বন্দরে কাজ অর্ধেকের নিচে চলে এসেছে। এর পরেও বিগত দিনের চেয়ে শ্রমিকদের মজুরী বেশি দেওয়া হচ্ছে। এর কারণ পরিশ্রমের পরিশ্রমের অর্থ বহিরাগত কোন নেতাকে ভাগ দিতে হয়না। শ্রমিকদের ভাগ্য উন্নয়নে সামনের দিনে বিএনপিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রাখা দরকার বলে মন্তব্য করেন এই শ্রমিক নেতা।
অনুদান প্রাপ্ত প্রবীণ শ্রমিকরা হলেন, আশাদুল ইসলাম,আব্দুল্লাহ, মোমিনুর রহমান,ইয়াছিন, জাফর মিয়া,মহাসিন, মনিরুল আকরম, আরফাত, নাজমুল হোসেন ও হেকমত আলী।
অর্থ সহয়তা অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তবিবুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ,সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইদ্রিস আলী ডাক্তার, কোষাধ্যক্ষ সবুজ হোসেন, প্রচার সম্পাদক ওমর ফারুক,বন্দর বিষয়ক সম্পাদক আব্বাস আলী, দপ্তর সম্পাদক আবুল কাশেম, কার্যনির্বাহী সদস্য কামরুজ্জামান, ইছাহক মেম্বার, জুলু মেম্বার,লিংকন মেম্বার,লেবার সরদার হাসেম আলীসহ ৯২৫ এর সকল নেতাকর্মী ও সাধারণ শ্রমিকেরা উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
You sent
সাইপ্রাসে ছাদ ভবন থেকে পড়ে বেনাপোলের হাফিজুর নিহত
বেনাপোল(যশোর): সাইপ্রাসে নির্মান কাজের সময় ছাদ থেকে পড়ে হাফিজুর রহমান (৪৫) নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
তিনি যশোর জেলাধীন বেনাপোল সীমান্তের পুটখালী গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে। ৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে গতকাল রাতে তিনি মারা যান। মাত্র ১৩ দিন আগে গত ০৯ সেপ্টেম্বর ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় সংসার, পরিজন ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন ইউরোপের দেশ সাইপ্রাসে। এদিকে তার অকাল মৃত্যুতে একদিকে স্বজন হারানো বেদনা অন্যদিকে রেখে যাওয়া দেনা পরিশোধের চিন্তায় অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবার।
জানা যায়,বেনাপোল স্থলবন্দর এলকা থেকে ৫ কিলোমিটার দুরে ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম পুটখালি। এক সময় ভারতীয় গরুর ব্যবসা ছিল এখানকার মানুষের আয়ের প্রধান উৎস। ততে সীমান্তে কড়াকড়ির কারনে প্রায় ৫ বছর ধরে বন্ধ গরু আসা। সংসার চালাতে তাই এখানকার অনেক পাড়ি জমাচ্ছেন বিদেশ।
হাফিজুরের স্বজনেরা জানান, হাফিজুর তার এক বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করে গত ০৯ সেপ্টম্বর যায় সাইপ্রাসে। বিদেশ যেতে তার খরচ হয়েছে ১২ লাখের মত। এর মধ্যে ৭ লাখ তিনি মানুষের কাছ থেকে ঋন নিয়েছেন। বিদেশে পৌছে ১৭ সেপ্টম্বর একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসাবে কাজে যোগ দেন। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস প্রথম দিনেই তিনি কাজ করার সময় অসাবধানতা বসত ৭ তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থান সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তী করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান।
বেনাপোলের পুটখালি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য
তানজিলা খাতুন জানান,মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার ঋনগ্রস্থ হয়ে পড়লো। সংসারের অভাব কাটাতে বিদেশ যান তিনি। তাকে হারিয়ে নিস্ব পরিবার।মরদেহ যাতে দ্রুত ফেরত আসে সরকারের সহযোগীতা কামনা করছি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।