মৎস্য ঘের থেকে যুবকের ক্ষত- বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার

আগের সংবাদ

কপিলমুনিতে কেকেএসপির বিশেষ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত

পরের সংবাদ

মহেশপুরে ভিডিপি সদস্যের গৃহ নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫ , ৭:৩৭ অপরাহ্ণ আপডেট: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫ , ৭:৩৭ অপরাহ্ণ

ঝিনাইদহের মহেশপুরে আনসার ও ভিডিপি সদস্যকে দেওয়া পাকা ঘর তৈরিতে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিন্ম মানের সামগ্রী দিয়ে ঘর তৈরি করার ফলে নতুন ঘরে ওঠার আগেই দুশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে উপজেলা সহকারী মহিলা আনসার প্লাটুন কমান্ডার রেবেকা খাতুনের কপালে।
সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অসহায় ভিডিপি সদস্যদের জন্য ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ঘর বরাদ্ধ দেওয়া হয়। সেই বরাদ্ধের ঘর পায় উপজেলার নস্তী গ্রামের উপজেলা সহকারী মহিলা আনসার প্লাটুন কমান্ডার রেবেকা খাতুন। কিন্তু ঘর নির্মানে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। রেবেকার নামে ঘর বরাদ্ধ হওয়ায় প্রথমে খুশি হলেও নিন্ম মানের সামগ্রী দিয়ে ঘর তৈরি করার ফলে নতুন ঘরে ওঠর আগেই দুরচিন্তার পড়েছেন তিনি।

রেবেকা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, সারা দিন অফিসে থাকার কারণে ঘর নির্মান কাজ দেখার সময় দিতে পারি না। সকালে অফিসে যাই সন্ধায় বাড়ি ফিরতে হয়। সেই সুযোগে নিন্ম মানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মান করছে। বাথরুমের দরজা খুলতে গেলেই পরে যাচ্ছে, রঙ্গিন টিন দেওয়ার কথ থাকলেন দিয়েছে নিন্মমানের টিন, জোরা তালির বাটাম,পাতলা পাতি দিয়ে জালানা তৈর করেছে। এখনি পাতির ঝালাই গুলো খুলে যাচ্ছে, ঘরের চাল দিলেও কোন টানা দেয়নি। যা ঝড় আসলেই ঘরের চাল উড়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘরটি জেলা স্যারের দায়িত্বে করা হচ্ছে । তিনি লেবারসহ সকল মালামাল জেলা থেকে নিয়ে আসেন। মিস্ত্রিরা আমার কোন কথাই শোনেন না। তাদের মত তারা কাজ করে চলে যায়। জেলা স্যারকে বললে,স্যার বলে সমস্যা হলে ঠিক করে দেওয়া হবে। এমন ঘরে বসবাস করবো কি ভাবে সামনে ঝড়ের সময় এমন ঘর আমাকে দেওয়া আর না দেওয়াই ভালো ছিলো বলে আক্ষেফ করে জানান রেবেকা।

প্রতিবেশি ছাবিনা খাতুন জানান, রেবেকা ঠিকমত বাড়িতে না থাকায় ঘর তৈরির শুরু থেকেই নিন্ম মানের সামগ্রী দিয়ে ঘর করা হচ্ছে। তারা যে জানালা লাগিয়েছে বাঁশের চটার জানালাও এর চাইতে মজবুত হয়। বাতাস আসার আগেই ঘরের চাল উড়ে যাবে। যানতে চাইলে মিস্তিরিরা বলেন যেমন বরাদ্ধ ঠিক তেমনই ঘর হচ্ছে।
উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা খুশি খাতুন বলেন, রেবেকার ঘরটি জেলা স্যারের দায়িত্বে করা হচ্ছে। কিছু কাজ নিন্ম মানের হয়েছে আমি দেখে এসেছি এবং এ বিষয়ে স্যারকে জানিয়েছি। তিনি জানান যেমন বরাদ্ধ তেমনি হচ্ছে । তিনি আরও বলেন এ ঘরের জন্য কত টাকা বরাদ্ধ তার কিছুই আমি জানি না। ঘর নির্মানের বিষয়ে আমাকে পর্যন্ত জানানো হয়নি ।
ঝিনাইদহ জেলা আনসার-ভিডিপি কমানন্ডার মিজানুর রহমান বলেন, বরাদ্ধ অনুযায়ী ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। কিছু জানার থাকলে জেলা অফিসে আসেন বলে ফোন কেটে দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়