ব্যক্তিগত সুবিধায় বিদ্যুৎ বন্ধ, বিপাকে রূপদিয়া বাজারের শতশত ব্যবসায়ী ও কচুয়া গ্রামবাসী

আগের সংবাদ

পাইকগাছায় শহিদ জুলাই ও আহতদের স্মরনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

পরের সংবাদ

শিক্ষার্থী মৃত্যুর তদন্ত ও দুর্নীতির শ্বেতপত্রের দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৫ , ৫:৪৩ অপরাহ্ণ আপডেট: জুলাই ২৬, ২০২৫ , ৫:৪৩ অপরাহ্ণ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার এবং বিগত ১৬ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুরে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আহ্বানে ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন চত্বরে এসে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে সাজিদের মৃত্যুর তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের আশ্বাস দিলে মাঠ ছাড়েন তারা। বিক্ষোভে বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
অবস্থান কর্মসূচীতে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত সাজিদ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট দিতে হবে। আর এটি হত্যাকাণ্ড হলে অবশ্যই এর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময় ছাত্র সংগঠনগুলো ক্যাম্পাস সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি দিলেও প্রশাসন তাতে কোনো সাড়া দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি শিক্ষার্থীদের কাতারে আসতে না পারে তাহলে তারা দায়িত্ব ছেড়ে দিক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, সাজিদের রহস্যজনক মৃত্যুর ৯ দিন পেরোলেও প্রশাসন কোনো রিপোর্ট দিতে পারেনি। জুলাইয়ের পরেও আপনারা যদি শিক্ষার্থীদের আকাক্সক্ষা বুঝতে ব্যর্থ হন তাহলে শিক্ষার্থীরাই আপনাদের চলে যেতে বাধ্য করবে। তাছাড়া দ্রুত তদন্তের অগ্রগতি এবং দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের আস্থায় আসুন, অন্যথায় পালানোর পথ পাবেন না।
আল-কুরআন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন মিঝি বলেন, একদল ষড়যন্ত্রকারী সাজিদের লাশ নিয়ে বিভিন্নভাবে পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। আমাদের বিভাগের নেতৃত্বে প্রশাসনকে চাপ প্রয়োগ করে হলেও প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন করাবো। প্রশাসনকে এবিষয়ে কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখালে পরিণতি ভয়াবহ হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন উপাচার্য (উপ-উপাচার্য) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, তদন্ত কমিটিকে ১০ কার্যদিবস সময় দিলেও ছুটির দিন বাদে তারা ৫ কার্যদিবস সময় পেয়েছে। ভিসেরা রিপোর্ট হাতে পেলে মঙ্গলবারের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে পারবো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়