ইউপি সদস্য

নিম্নমানের ইটে রাস্তা করতে গিয়ে বাধার মুখে ইউপি সদস্য

আগের সংবাদ

লাইসেন্সের যোগ্যতা নেই, তবুও আগ্নেয়াস্ত্র রেখেছেন উপদেষ্টা আসিফ!

পরের সংবাদ

সামাজিক কোন্দলে নিঃস্ব একটি পরিবার, কেউ খোঁজ রাখেনি অসহায় নাসরিনের

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৫ , ৯:০৫ অপরাহ্ণ আপডেট: জুন ২৯, ২০২৫ , ৯:০৫ অপরাহ্ণ
কেউ খোঁজ রাখেনি

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার আমতৈল গ্রামে সামাজিক কোন্দলে ক্ষতিগ্রস্থ নাসরিন নাহার ও তার পরিবার চরম অসহায়ত্বের মধ্যে দিনযাপন করছে। পরিবারের অভিযোগ গত ১৫ জুন রবিবার সকালে গ্রাম্য দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের দেওয়া আগুনে তার বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঐ দিন প্রতিপক্ষের লোকজন আরো অর্ধশতাধিক বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাট চালায়। এখন মাথা গোজার ঠাই হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে পরিবারটি। সহায় সম্বল হারিয়ে চরম অসহায়ত্বের মধ্যে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ৪ সদস্যের পরিবারটি। এখন পর্যন্ত কেউ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি। এ ঘটনায় ১৬ জুন সোমবার ইখলাস শেখের স্ত্রী নাসরিন নাহার বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ১২৪/২৫।

রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইখলাস শেখের বসবাসের জন্য মাত্র দুইটি ঘর। এক ঘরে কলেজ পড়ুয়া মেয়ে এবং অন্য ঘরে তার স্বামী-স্ত্রী বসবাস করতো। গত ১৪ জুন শনিবার রাতে প্রতিপক্ষের লোকজন একটি বসতঘর ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পরের দিন সকালে প্রতিপক্ষের লোকজন আবারো অপর ঘরে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ করে পরিবারের সদস্যরা। ইখলাস শেখের মাঠে কোন জমিজমা নেই। ভাড়ায় ব্যাটারি চালিত অটোবাইক চালিয়ে কোন মতে সংসার চলতো। বর্তমানে এ উপার্জনও বন্ধ হয়ে গেছে। সব কিছু হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে পরিবারটি।

এ বিষয়ে ইখলাস শেখের স্ত্রী নাসরিন নাহার জানান, আমার সব শেষ হয়ে গেছে। রান্নার চুলা জ্বলছে না। দু’বেলা দু’মুঠো খেয়ে বাঁচবো তার ও উপায় নেই। ভাঙচুর হওয়া ঘরে গাদাগাদি করে কোন মতে রাত কাটছে। ঘরের বেড়া না থাকায় কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি। ঘর ঠিক করবো সে সামর্থ্য নেই। অনেকে এসেছে, দেখে গেছে কিন্তু কোন সহায়তা করেনি। এ জীবনে বেঁচে থাকার চেয়ে মরাই ভালো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়