নড়াইলের লোহাগড়ায় ৩ হত্যা কান্ডের ঘটনায় ২জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ৭ মে করফা গ্রামের টোকন মীর (৬০) আপন চাচা ও চাচাত ভাইদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর যক্ষম হলে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেলে ৮ মে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎিসাধীন অবস্থায় মারা যায়। গত ১৬ মে টোকন মীর হত্যাকান্ডের এজাহারভুক্ত আসামী রাজ্জাক মীরকে গ্রেফতার করে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
শুক্রবার মাদারীপুর সদর থানার উত্তর ঝিকরহাটি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রাজ্জাক মীর লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের করফা গ্রামের মৃত বিলায়েত মীরের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই গৌতম,এসআই আলীর নেতৃত্বে এবং মাদারীপুর পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাজ্জাক মীরকে মাদারীপুর সদর থানার উত্তর ঝিকরহাটি গ্রাম থেকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে।
উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের করফা গ্রামে রাজ্জাক মীর ও তার চাচাতো ভাই টোকন মীরের পরিবারের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্জাক মীর ও তার ছেলেরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে টোকন মীরকে কুপিয়ে আহত করে।পরের দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান বলেন,অল্প সময়ের মধ্যে টোকন হত্যাকান্ডের এজাহার ভুক্ত আসামি রাজ্জাক মীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে গত১১ মে নোয়াগ্রাম ইউপির শামুকখোলা গ্রামের খাজা খন্দকারের ছেলে সালমান খন্দকারের হত্যার ঘটনায় একই গ্রামের মান্নান মোল্যা ছেলে মসিয়ার মোল্যা (৪০) কে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য গত ৯ মে ( শুক্রবার) উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউপির শামুকখোলা গ্রামের কাউলিডাঙ্গা বিল থেকে খাজা খন্দকারের ছেলে সালমান খন্দকারের (২৬) ক্ষত বিক্ষত লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
অপরদিকে ১৪ মে (বুধবার) উপজেলার ইতনা ইউপির কুমারডাঙ্গা বাজারে খাজা মোল্যা (৫০) নামে একজন কৃষক কে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খাজা মোল্যা ইতনা ইউনিয়নের পার-ইছাখালি গ্রামের লবা মোল্যার ছেলে। ৩টি হত্যা কান্ডেই ঘটনায় থানায় মামলা হয়। পুলিশ এ পর্যন্ত ৩টি মামলায় ২জন আসামী গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে লোহাগড়ায় ৭দিনে ৩টি খুনের ঘটনায় নড়াইলের আইন শৃংখলা বাহিনী নড়েচড়ে বসেছে। গত ১৪ মে নড়াইলের পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীরের স্বাক্ষরিত এক আদেশে ২৪ ঘন্টার মধ্যে লোহাগড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আশিকুর রহমানকে নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানায় এবং নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শরিফুল ইসলামকে লোহাগড়া থানায় বদলী করা হয়।
লোহাগড়া থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, আইন শৃংখলা বজায় রাখার জন্য আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।