হামজার অভিষেক ম্যাচের টিকিট দিয়ে ব্যবসা করতে চাইছে বাফুফে ব্যবসা

আগের সংবাদ

ধেঁয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ভয়াবহ তাণ্ডবের শঙ্কা!

পরের সংবাদ

বিএনপির দুপক্ষে সংঘর্ষে আহত দুই ভাইয়ের একজন মারা গেছেন

প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৫ , ৫:০৮ অপরাহ্ণ আপডেট: মে ১১, ২০২৫ , ৫:০৯ অপরাহ্ণ

যশোরের ঝিকরগাছায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনায় আহত দুই ভাইয়ের একজন প্রবাসী আশাদুল হক আশা মারা গেছেন। গুরুতর আহত আশাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে শনিবার রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে।

আহত তার বড় ভাই মহিদুল ইসলাম (৪২) যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহত প্রবাসী আশাদুল হক আশা (৪০) ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের বালিয়া গোরশুটি গ্রামের আতাউল হক মোড়ল ওরফে আতাল ময়রার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের ছুটিপুর জামতলা মোড়ে সংঘর্ষ হয়।

স্থানীয়রা জানান, গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন অসন্তোষ চলে আসছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় দুই ভাই তাদের লোকজন নিয়ে প্রথমে ছুটিপুর বাজারে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। ওই সময় লোকজনের বাধার মুখে তারা স্থান ত্যাগ করে। ঘণ্টাখানেক পর আশা ও মহিদুল দুই ভাই তাদের জামতলা মোড় দলীয় অফিস থেকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বের হন। পথিমধ্যে বাজার কমিটির সভাপতি কাগমারী গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে বিপ্লব, গঙ্গানন্দপুর গ্রামের রমজানের ছেলে নশু, জিওলিগাছা গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে সিরাজ ও কাগমারী গ্রামের লুৎফর খাঁর ছেলে মোহর তাদের ওপর হামলা করে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আশাকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন জানান, নিহত আশা প্রবাসে ছিলেন দীর্ঘদিন। মাসখানেক আগে দেশে ফিরে এলাকায় লাগামহীন অপকর্ম করে আসছেন। প্রতিপক্ষও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। শনিবার ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার সময় অপরপক্ষ অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাদেরই কুপিয়ে জখম করে।

নিহত আশার বড় ভাই শহিদুল ইসলাম রোববার দুপুরে এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমার ভাই দীর্ঘদিন ওমানে ছিল। সে এবং যারা তাকে মেরেছে সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় বাজারে দলীয় একটি কার্যালয় করাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে কলহ হয়। শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষরা আমার দুই ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। গুরুতর আহত আশাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এরপর ঢাকার একটি হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ যশোরে আনা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, তারা বিএনপির কর্মী, দলীয় কোনো পদ নেই। বিদেশ থেকে ফেরার পর আশা এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন। যারা মেরেছে তারাও একই সঙ্গে উঠাবসা করতেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।

ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. বাবলুর রহমান খান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বোন নাসিমা বেগম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত একজনের নামে মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়