হেফাজতের ২০১৩ সালের সমাবেশে নিহতের সংখ্যা জানালেন আজাদ মজুমদার

আগের সংবাদ

সাতক্ষীরায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ভক্তিভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন

পরের সংবাদ

মারামারি করে চিকিৎসা নিতে এসে হাসপাতাল ভাঙচুর ও ডাক্তারদের মারধর!

প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৫ , ৭:১৭ অপরাহ্ণ আপডেট: মে ৩, ২০২৫ , ৭:১৭ অপরাহ্ণ

চিকিৎসা সেবা দিতে দেরি হওয়ার অভিযোগ তুলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে রোগীর স্বজনরা। এ সময় ডাক্তার ও নার্সসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনদেও বিরুদ্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি মামলা দায়ের করেছে।

ঘটনার পর সাময়িক ভাবে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ে দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ঘটনাস্থলে চিকিৎসকসহ স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মারামারির উপসর্গ নিয়ে সদর উপজেলার লাবসা গ্রামের আক্কেল আলীর ছেলে শাহিন নামের এক রোগী সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে ইনডোরে ভর্তি হন। এরপরে সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসককে না পেয়ে রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে তারা ফের জরুরি বিভাগে ফিরে এসে কর্তব্যরত স্টাফদের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়ান। এক পর্যোয়ে তারা স্টাফদের ওপর হামলা চালিয়ে জরুরি বিভাগে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

এ সময় জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আক্তার মারুফ ও ঢাকা থেকে আসা ডা. তানভির হোসেনসহ ৬ থেকে ৭ জনকে মারপিট করেন রোগীর স্বজনরা। হামলার সময় হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষ জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়ে বাইরে থেকে আসা রোগীরা।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফয়সাল আহমেদ জানান, বেলা সাড়ে ৯টার দিকে দুপক্ষের ৪ রোগী মারামারির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসে। ওই শাহিন নামে এক রোগীর অবস্থা গুরতর থাকায় তাকে চিকিৎসা দেয়া শেষে ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তারা ইনডোরে কোনো ডাক্তার না পেয়ে আবার ফিরে এসে জরুরি বিভাগে ভাঙচুরের সাথে ডাক্তার ও নার্সদের মারপিট করে।

এ ঘটনায় নাস মর্জিনা খাতুন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়