চৌগাছার বেড়গোবিন্দপুর বাওড় লিজ বাতিল করে লাল নিশানা উত্তোলন

আগের সংবাদ

শ্যামনগরে ফের পুকুর থেকে ৩৮ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

পরের সংবাদ

শিবির সেক্রেটারি

‘সকল প্রমাণ থাকার পরও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিচার হচ্ছে না’

প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২৫ , ৬:৫৬ অপরাহ্ণ আপডেট: এপ্রিল ২২, ২০২৫ , ৬:৫৬ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, ‘সকল প্রমাণ থাকার পরও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিচার হচ্ছে না। এটা ১৯৭১ সাল নয় যে কোনো প্রমাণ ছিল না, যেখানে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা অনেক কঠিন ছিল। দেশে এখন প্রতিটি ঘটনার ভিডিও রয়েছে, সব দৃশ্যমান।

সকল গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রমাণ রয়েছে, রিপোর্ট জমা রয়েছে। ভিডিওগুলো এবং গণমাধ্যমগুলো বিশ্লেষণ করলে আমরা সবকিছু পরিষ্কার দেখতে পাই। এতো পরিষ্কার প্রমাণ থাকার পরেও তাদের বিচার হচ্ছে না। আমরা অতিদ্রুত ফ্যাসিবাদী হাসিনার বিচার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে আহবান জানাচ্ছি।’

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) টিএসসিসির করিডোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম ও ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক শহীদুল ইসলাম। এছাড়া শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সেক্রেটারি ইউসুব আলী সহ শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় সাদ্দাম আরও বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের আট মাস চলে গেলেও আমরা সেই ফ্যাসিবাদের কোন দৃশ্যমান বিচার দেখতে পাচ্ছি না। পরবর্তীতে একটি দল নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসে এই বিচারকে কন্টিনিউ করবে এরকম আস্থা এবং বিশ্বাসও আমাদের নেই। কারণ ইতিহাস বলে নব্বইয়ে এরশাদের পতনের পর এরশাদকে আবার পুনর্বাসন করেছিল এই রাজনীতিবিদরাই। বারবার বাংলাদেশে এই ইতিহাসগুলো পুনরাবৃত্তি হয়েছে।

সুতরাং জুলাইয়ের গণহত্যার বিচারের দাবি না করেই যারা শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যই নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমরা মনে করি, ছাত্রজনতা তাদের এই কার্যক্রমকে আবার লাল কার্ড দেখাবে। এটা সহ্য করা হবে না।’

শিবির সেক্রেটারি আরও বলেন, ‘বিচার তো হচ্ছেই না উল্টো আমরা দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন জায়গায় এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মিছিল-মিটিং করছে, গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে, মানুষের ঘরবাড়িতে আগুন দিচ্ছে। ফ্যাসিবাদ আবার অনলাইনে সংঘবদ্ধ হয়ে দাবি করছে হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি অনলাইনে তাদের যে সভাগুলো হয় সেগুলোতে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপস্থিত থাকে।

এটা থেকে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে আওয়ামীলগকে কারা পরিচালনা করতো। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে মূলত মোদির সেবা দাসী হিসেবে কাজ করেছে। সেবা দাসী হিসেবে তাকে যেটুকু অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে তারা সেটাই করেছে। আমরা এই জিনিসগুলোর পরিবর্তন চাই। জাতি হিসেবে সার্বভৌমত্ব নিয়ে সম্মানের সাথে বেঁচে থাকতে চাই।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়