নিজের বা পৈত্রিক সম্পত্তি না হলেও যশোর মণিরামপুরে,জোর পূর্বক আরেকজনের ক্রয়সূত্রের পৈতৃক সম্পত্তি দীর্ঘ ২৪ বছর, ধরে দখল করে আসছে উপজেলার দূর্বাডাংগা, ইউনিয়নের বাহির ঘরিয়া গ্রামের মৃত মোসলেম বিশ্বাসের ছেলে মোঃ আকাব্বর আলী।
শুধু দখল নয় নতুন করে বসত ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে এই দখলকারীর বিরুদ্ধে। এদিকে ঐ জমিতে বিজ্ঞ আদালতের এলএসটি, মামলা চলাকালে কিভাবে বা কোন অদৃশ্য ক্ষমতাবলে এহেন আইনবিরোধী কর্মকান্ড করছে। অসহায় ইজিবাইক চালক অভিযোগকারী একই গ্রামের মৃত জব্বার মহলদারের, ছেলে মোহাতাব, ও ইসমাইল মহলদারের পরিবারকে।
স্থানীয়দের তথ্য ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মণিরামপুর উপজেলার বাহির ঘরিয়া মৌজার জে,এল, নং ২২৪ এর ৭২৭ নং দাগে ১৫ শতক জমির ১৯৯১সালের সংসোধিত দলিল ও রেকর্ডে জমির মালিক বার ঘরিয়া গ্রামের মৃত জব্বার মহলদার। পিতা মৃত হওয়ায় ঐ জমির ওয়ারেশসূত্রে বর্তমান মালিক তারই দুই ছেলে মোঃ মোহাতাব মহলদার ও মোঃ ইসমাইল মহলদার।
ঐ জমির দাগের পার্শবর্তী আরেকটি দাগে ওয়ারেশসূত্রে জমির আরেক মালিক একই গ্রামের মৃত মোসলেম বিশ্বাসের ছেলে মোঃ আকব্বার আলী। অভিযোগ আছে নিজের জমির পার্শবর্তী মৃত জব্বার মহলদারের ১৫শতক জমিও আকব্বার আলী দীর্ঘদিন যাবত ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আ”লীগের প্রভাবে জোরপূর্বক দখল করে আসছে।
তবে এই জমি দখল সম্পত্তির বিষয়ে কয়েকবার স্থানীয় ইউপি চেলারম্যান মাজহারুল আনোয়ারের মাধ্যমে শালিস হলেও দখলদারত্বে পরিবর্তন আসেনি।বিপরীতে আকাব্বার আলী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাজহারুল আনোয়ারের ছত্র ছায়াই থেকে জমির প্রকৃত মালিকের ছেলেদের সহ তাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে বিভিন্ন সময়ে হুমকিও দিয়ে আসছে।
তথ্য আছে সর্বশেষ ২০০৮ইং সালে আকব্বার আলী জবরদখলের ঐ জমির সাবেক ও নিষ্ক্রিয় দলিল বুনিয়াদে জেলা কোর্টে ৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে।২০১০ইং সালে ঐ মামলায় আকাব্বারের দাবীটি না মঞ্জুজুর করেন বিজ্ঞ আদালত। বর্তমানে ঐ জমিতে এলএসটি মামলা চলমান।
আদালতের রায়কে অমান্য করে অন্যায়ভাবে গতকাল ২৫শে ডিসেম্বর ২০২৪ইং তারিখে আবারও ঐ জমিতে পাকা ঘর নির্মান শুরু করলে জমির প্রকৃত মালিকের ছেলে দিনমজুর ইজিবাইক চালক মোহাতাব মহলদার ও তার বড় ভাই ইসমাইল মহলদার এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিয়োগকৃত ইউপি প্রশাসক মোঃ রোকনুজ্জামন বরাবর তথ্য প্রমানপত্রসহ এই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বেপারে ইউনিয়ন প্রশাসক ও মণিরামপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার রোকনুজ্জামান বলেন,অভিযোগ পেয়ে আমলে নিয়েছি!আগামি রবিবার আমি নিজে উপস্থিত থেকে কাগজপত্রের প্রমাণ সাপেক্ষে জমির প্রকৃত মালিকের দখল নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো।
মণিরামপুর সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ নিয়াজ মাখদুমের কাছে জানতে চাইলে বলেন,এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।অভিযোগ পেলে ও প্রমানিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।