যশোর সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম মিঠু হত্যার সাথে জড়িতের অভিযোগে একই এলাকার বাপ্পীকে আটক করেছে র্যাব-৬ যশোরের সদস্যা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব তার অবস্থান শনাক্ত করে মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার কুয়াতপুরের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে আটক করে। এরআগে তিনি ঢাকাতে আত্মগোপনে ছিলেন। এই মামলার আরেক আসামি সুমনকে আগে ঢাকা থেকে আটক করা হয়।
র্যাব-৬ যশোরের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক রাসেল জানান, জাহাঙ্গীর আলম মিঠু দুই বছর আগে মালয়েশিয়া (প্রবাসী) থেকে নিজ বাড়িতে ফিরে এলাকায় টাইলস মিস্ত্রীর কাজ করতেন। গত ৯ আগস্ট সন্ধ্যার পর বন্ধু সুমন তাকে চা খাওয়ার কথা বলে মোবাইলে ডেকে আনেন। এরপর থেকেই মোবাইল বন্ধ হয়ে যায় মিঠুর।
পরদিন সকালে যশোর সদরের আড়পাড়া গ্রামের ভ্যানচালক মিলনের বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গা থেকে মিঠুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মিঠুর মূলত সুমন ও বাপ্পিসহ বেশ কয়েকজনের পূর্ব থেকে শত্রুতা ছিল। এরই জেরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ওই রাতে কৌশলে তাকে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোদাচ্ছের আলী বাদী হয়ে কোতোয়ালি মামলা করেন। এরপর থেকে তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। পরে তাকে আটক করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই অনুপ কুমার দাস জানান, এরআগে এ মামলার আসামি সুমনকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। তিনি আদালতে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। তার জবানবন্দি অনুযায়ী বাপ্পীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। পরে তাকেও আটক করা হয়। বাপ্পীও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।