চট্টগ্রাম বন্দরে আটকা সাবেক এমপিদের ৫২ বিলাসবহুল গাড়ি

আগের সংবাদ

ড. ইউনূসের সঙ্গে পাকিস্তান হাইকমিশনারের আলোচনা বৈঠক

পরের সংবাদ

যবিপ্রবির নতুন ত্রাস নিয়োগ বাণিজ্যের হোতা মুকুল, গোপনীয় লকারের চাবি লোপাট

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২৪ , ৯:০২ অপরাহ্ণ আপডেট: আগস্ট ২৭, ২০২৪ , ৯:০২ অপরাহ্ণ

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জনসংযোগ শাখার অফিসের তালা চাবি নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বাণিজ্যের হোতা হায়াতুজ্জামান মুকুলের বিরুদ্ধে। ডিন অফিসে কর্মরত থেকেও জনসংযোগ শাখার গোপনীয় নথি থাকা লকারের চাবিও নিয়ে যাওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েবের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট দফতরে কর্মরতরা। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) আনুমানিক দুপুর দুই ঘটিকায় তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে। ২০২৩ নিয়োগ বাণিজ্যে সরাসরি জড়িত থাকা প্রমানিত হওয়ায় মুকুলকে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অফিসে বদলী করা হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রে জানা যায়, মুকুলের নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত থাকার বিষয়টি হাতেনাতে ধরেন তৎকালীন মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোঃ মেহেদী হাসান। মুকুল নিয়োগ বাণিজ্যের ড. ইকবালের সিন্ডিকেটে থাকায় তাকে বাঁচাতে ড. মেহেদীকে তদন্ত কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়। নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত থাকার প্রমান পাওয়ার পরও আইন অনুযায়ী গুরুদণ্ড হওয়ার কথা থাকলেও মুকুলকে দেওয়া হয় লঘুদন্ড। ২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রিজেন্ট বোর্ড হায়াতুজ্জামানের পাঁচ বছর ‘পদোন্নতি’ এবং তিনটি বার্ষিক ‘ইনক্রিমেন্ট’ স্থগিত করে। সম্প্রতি ড. ইকবালকে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলে নিয়োগ বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে পুনরায় মুকুলকে জনসংযোগ শাখায় আনার পরিকল্পনা করা হয়। তার প্রেক্ষিতে জনসংযোগ শাখাকে নিজের কুক্ষিগত করতে জোরপূর্বক মুকুল এ তালাচাবি নিয়ে যান বলে জানিয়েছে একটি সুত্র।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হায়াতুজ্জামান মুকুল বলেন, আমি কোনো তালা চাবি নেইনি। পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে জানতে চান এই কথা কে বলেছে? তার বর্তমান কর্মস্থল জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনসংযোগ শাখাই তার বর্তমান কর্মস্থল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার উপ-পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোঃ আব্দুর রশিদ বলেন, জনসংযোগ দপ্তরের কর্মচারীদের মাধ্যমে জানতে পারি আজ (মঙ্গলবার) দুপুরের দিকে জনাব হায়াতুজ্জামান মুকুল জনসংযোগ অফিসের স্টোর রুমে তালা দিয়ে চাবি, এবং ৩০৪ নং কক্ষের তালাচাবি নিয়ে গেছেন। আমরা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র গায়েব হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি। আশা করছি তিনি তার ভুল বুঝতে পারবেন এবং তালা চাবি সহ আরও কিছু নিয়ে থাকেন তা যেন অতিদ্রুত ফেরত দেন। তা না হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন এইচ.এম জাকির হোসেন বলেন, হায়াতুজ্জামান মুকুল আজকেও আমার ডিন অফিসে অফিস করেছেন। এ বিষয়ে যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব বলেন, প্রকৌশল অনুষদের ডিন অফিসে কর্মরত জনাব হায়াতুজ্জামান মুকুল জনসংযোগ শাখার স্টোর রুমের চাবি এবং ৩০৪ নং কক্ষের তালাচাবি নিয়ে গেছে বলে মৌখিকভাবে জেনেছি।

মুকুলের বর্তমান কর্মস্থল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনাব হায়াতুজ্জামান মুকুলকে প্রকৌশল অনুষদে বদলী করা হয়েছিলো। তারপর তাকে আর জনসংযোগ শাখাতে বদলী করা হয়নি। প্রকৌশল অনুষদই তার বর্তমান কর্মস্থল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়