বাগেরহাট জেলার স্বনামধন্য উপজেলা মোল্লাহাট। শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সমৃদ্ধির কারণে এ উপজেলা দীর্ঘদিন ধরেই বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে। এখানে রয়েছে অসংখ্য স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও জনজীবনের স্বাভাবিক প্রবাহকে থামিয়ে দিচ্ছে একটি বড় সমস্যা—বিদ্যুৎ সংকট।

অত্র উপজেলায় প্রায়শই বিদ্যুৎ থাকে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পরিচালনায় সমস্যায় পড়ছেন, আর গৃহিণীদের গৃহস্থালি কাজেও দেখা দিচ্ছে চরম অসুবিধা। বিদ্যুতের এই অসহনীয় যন্ত্রণা মোল্লাহাটের মানুষের জীবনকে করে তুলেছে দুর্বিষহ।

পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বে থাকা মোল্লাহাটের ডিজিএম প্রতিনিয়ত নানা অজুহাত দেখিয়ে জনগণকে ব্যাখ্যা দেন। কখনও বলেন গোপালগঞ্জ অঞ্চলে ফল্ট হয়েছে, আবার কখনও বাগেরহাট কিংবা চিতলমারী অঞ্চলে সমস্যার কথা তুলে ধরেন। কোনো সময় বলেন গাছের ডাল পড়েছে, আবার কখনও বজ্রপাতে লাইন নষ্ট হয়েছে। কিন্তু এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান আজও হয়নি।

ইদানীং বিদ্যুতের সমস্যা এতটাই তীব্র আকার ধারণ করেছে যে উপজেলার সাধারণ মানুষের দিনযাপনও ব্যাহত হচ্ছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে শুরু করে জরুরি চিকিৎসা সেবা—সবকিছুই বিদ্যুতের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিদিন বিদ্যুৎ নিয়ে এই দুর্ভোগ তাদের জীবনে এক ধরনের হতাশা তৈরি করছে।

এ বিষয়ে সচেতন মহল বলছে, অবিলম্বে মোল্লাহাটে বিদ্যুৎ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। অন্যথায় শিক্ষাক্ষেত্র, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা সবকিছুই ভেঙে পড়বে, আর পিছিয়ে পড়বে সমৃদ্ধ মোল্লাহাট উপজেলা