‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি, রিকশাচালকের ছেলে রিয়াদ আজ বিলাসবহুল জীবনে!

আগের সংবাদ

বিজ্ঞানী পিসি রায়ের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

পরের সংবাদ

নওয়াপাড়া পৌরসভার কর নির্ধারক মোজাফফর হোসেন সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৫ , ৭:০১ অপরাহ্ণ আপডেট: জুলাই ২৮, ২০২৫ , ৭:০২ অপরাহ্ণ

যশোর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার কর নির্ধারক মোজাফফর হোসেন’কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও  নওয়াপাড়া পৌর প্রশাসক পার্থ প্রতিম শীল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার  মোজাফফর হোসেন’কে

অফিশিয়ালভাবে  বরখাস্তের নোটিস প্রদান করা হয়।

নওয়াপাড়া  পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, মোজাফফর হোসেন বিগত ফ্যাসিস্ট  সরকারের আমলে ক্ষমতার দাপটে সম্পদশালী হয়েছেন। কর নির্ধারক থাকাকালে করেছেন নানা অনিয়ম। যাকে তাকে হেনস্তা করা ছিল তার নিত্য দিনের কাজ।

জানা গেছে, দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক পৌর মেয়র সুশান্ত কুমার দাস শান্ত  ও মোজাফফর হোসেন কলেজ জীবন থেকে নিষিদ্ধ আওয়ামী ছাএলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেই সুবাদে সাবেক মেয়রের আস্থাভাজন ছিলেন এই মোজাফফার। এ সুযোগেই পৌর সভার অন্যান্য দপ্তর গুলোতেও সমান ভাবে খবরদারি করতেন।

এছাড়াও সরকার পতনের পর তার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়। অফিসের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গোপনে আদালতে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে তার পল্লী বিদ‍্যুৎ কর্মকর্তা স্ত্রী  হাজতে থাকা স্বামীর স্বাক্ষর নিয়ে ছুটির আবেদন পৌরসভায় জমা দেন ।

পৌর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো সাইফুল ইসলাম’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৌর কর নির্ধারক মোজাফফারের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে একটি মামলা রয়েছে এবং তিনি গোপনে  জামিন ধরেছেন এমন বিষয়ে অফিস অবগত  নেই। তিনি জেল হাজতে থাকাকালে তার তার স্ত্রী ছুটির আবেদন করেন। যদিও বিশেষ বিবেচনায় তার ছুটির আবেদন মঞ্জুর করা হতো।

কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ফলে গত ২৪ জুলাই তাকে সাময়িক বরখাস্তের অফিশিয়াল নোটিশ দেয়া হয়। যেহেতু তার বিরুদ্ধে একটি নাশকতার মামলা চলমান রয়েছে তাই তার বিরুদ্ধে এই বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও  নওয়াপাড়া পৌর প্রশাসক পার্থ প্রতিম শীল বলেন, সরকারি চাকুরীরত কোন ব‍্যক্তি এক দিনের জন‍্যও জেলে থাকলে তিনি সাময়িক বরখাস্ত হন তবে সাধারণ খোরপোষ পাবেন। নির্দোষ প্রমাণিত হলে চাকুরীতে নিয়মিত হিসাবে গণ‍্য হবেন। অন‍্যথায় স্থায়ীভাবে চাকুরী হারাবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়