সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ শিকার করার সময় মোস্তফা সরদার (৪৭) নামের এক জেলে মৃত্যুবরণ করেছে।
১২(জুলাই) সকালে অন্যান্য জেলেদের সহায়তায় মৃতদেহ লোকালয়ে নিয়ে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
গত ১১(জুলাই) শুক্রবার রাতে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা ফরেস্ট স্টেশনের আওতাধীন নোঁটাবেকির ইলিশিমারি খালে এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়। মৃত মোস্তফা সরদার খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার(৪ নাম্বার) নওশাদ সরদারের পুত্র।
মৃত মোস্তফা সরদারের সহকর্মী মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ভেটখালী গ্রামের ইউসুফ আলী জানান, গত ৪-৫ দিন আগে সুন্দরবনের মাছ ধরতে যায় তারা। গত (১১ জুলাই) শুক্রবার বিকালে অভয়ারণ্যে মাছ ধরার সময় সুন্দরবনের বন বিভাগের স্মার্ট পেট্রোল টিমের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে, ফলে তারা ভীত হয়ে বনের গহীনে ঢুকে পড়ে তারা দুইজন। এ সময়ে স্মার্ট টিমের সদস্যরা তাদের মার শিকার করার সরঞ্জাম এবং ব্যবহৃত নৌকা জব্দ করে নিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পর তার সহকর্মী মোস্তফা সরদার গুরুতর অসুস্থতা বোধ করে। ইউসুফ আলীর ধারণা তিনি স্টক করে। এবং অবস্থার অবনতি দেখে অন্য জেলেদের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য তিনি মোস্তফা সর্দারকে বনের মধ্যে বসিয়ে রেখে, অন্য জেলেদের খোঁজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে অন্য জেলেদের সাথে নিয়ে মোস্তফা সদরের কাছে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। এরপর সারারাত নৌকা চালিয়ে মোস্তফা সরদারের লাশ লোকালয়ে নিয়ে আসে তারা।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জার সহকারী রেঞ্জার এবিএম হাবিবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়েছি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনে মাছ ধরার এক জেলে স্টক করে মারা গিয়েছে। তবে কোন এলাকায় মারা গিয়েছে এখনও জানতে পারিনি।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞার সময়ে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যজুড়ে মাছ-কাঁকড়া ধরার রাজত্ব চলছে বলেও জানান কয়েকটি সূত্র। এছাড়া, কিছু অসাধু জেলের মহাজন (কোম্পানি) ও বন কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে অবৈধভাবে এসব মাছ-কাঁকড়া শিকার ও বিক্রির অভিযোগও রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।