কেশবপুরে সন্ত্রাসী হামলায় আহত
যশোরের কেশবপুর উপজেলার সরসকাটি বাজারে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার বিকেলে সন্ত্রাসী হামলায় মারাÍক আহত উপজেলা যুবদল নেতা ও সাংবাদিক মনিরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টার দিকে খুলনার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার
মৃত্যু হয়।
তিনি উপজেলার বরনডালি গ্রামের আলী বক্সের ছোট ছেলে ও সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার কেশবপুর প্রতিনিধি ছিলেন। অন্য আহতরা হলেন একই গ্রামের মশিয়ার গাজীর ছেলে কাশেম গাজী, মনির উদ্দীন মোল্যার ছেলে জাকির হোসেন ও নিহত মনিরুল ইসলামের ভাই মিজানুর রহমান। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের স্বজনরা জানান, উপজেলার বরনডালি গ্রামের মৃত নেপাল গাজীর ছেলে মশিয়ার রহমান গাজী, মশিয়ার গাজীর ছেলে আওয়ামী লীগের কর্মি বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের হোতা রেজা হাসান সবুজ ও গোলাম মোস্তফা কামাল লিটন, সামসুর রহমানের ছেলে রুবেল হোসেন এবং মৃত কিতাব আলী দফাদার ছেলে সালাউদ্দিন সহ ৬/৭ জন সন্ত্রাসী পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সরসকাটি বাজারে লোহার রড দিয়ে মনিরুল ইসলামের মাথায় আঘাত করে। এতে সে মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে কেশবপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাৎক্ষণিকভাবে তাকে খুলনার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, হামলার সময় সরসকাটি বাজারের লোকজন একত্রিত হয়ে ধাওয়া করে সন্ত্রাসী রেজা হাসান সবুজ, গোলাম মোস্তফা কামাল লিটন হোসেন ও মশিয়ার রহমানকে গণধোলাই দিয়ে বাজারের একটি দোকানে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে চিংড়া পুলিশ ইনচার্জ এস আই শামীমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক করে।
এ বিষয়ে চিংড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই শামীম হোসেন জানান, শুনেছি গতকাল বুধবার সকালের দিকে মনিরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার মারামারির ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, শুনেছি গতকাল বুধবার সকালের মনিরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। লাশটি রয়েছে খুলনা মেডিকেলে। গত মঙ্গলবার মারামারির ঘটনায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। যার নং-১০। ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
বাকীদের আটকে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।