মোংলার নদ-নদীগুলোতে হঠাৎ করেই পানি বৃদ্ধি পেয়েছে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে প্রায় দুই থেকে আড়াই ফুট। নিম্নচাপ, অমাবস্যার প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল এবং টানা বৃষ্টিপাতের কারণে এই পানি বৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশেষ করে মোংলার পশুর নদী ও মোংলা নদীর পানি বিপজ্জনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সুন্দরবনের অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, গোটা বনাঞ্চল জুড়ে দুই থেকে আড়াই ফুট পানির ঢেউ আছড়ে পড়েছে। করমজল, চাঁদপাইসহ বিভিন্ন এলাকায় বনের রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে।
তবে বড় কোনো বিপর্যয়ের শঙ্কা এখনো তৈরি হয়নি। বনের অভ্যন্তরে থাকা প্রাকৃতিক উঁচু টিলা-ই বন্যপ্রাণীদের জন্য রক্ষাকবচ হয়ে উঠেছে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বন্যপ্রাণীরা এসব উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়ে নিরাপদে রয়েছে।
সুন্দরবন করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, “সুন্দরবনের কিছু অংশে পানি ঢুকে পড়েছে, করমজলের রাস্তাঘাট পানির নিচে। তবে এখন পর্যন্ত বন্যপ্রাণীর কোনো দৃশ্যমান ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। উঁচু টিলাগুলোর কারণে প্রাণীরা সহজেই আশ্রয় নিতে পেরেছে।”
এদিকে স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ পানি বাড়ায় বনপথে চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বনরক্ষীদের চলাফেরাও সীমিত হয়ে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে আগামী দিনে এ ধরনের পরিস্থিতি আরও ঘন ঘন ঘটতে পারে। এজন্য সুন্দরবনের মতো সংবেদনশীল এলাকা নিয়ে এখনই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার তাগিদ দিয়েছেন পরিবেশবিদরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।