ঝিকরগাছায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কটুক্তি করার আলোচিত- সমালোচিত মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইলিয়াস উদ্দিনের দুর্নীতি-অনিয়মের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর এবার সামনে এলো আরো একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য।

তিনি তার শিক্ষাসনদ ও মার্কশিটের ফটোকপি নিজেই সত্যায়িত করেছেন!ব্যবহার করেছেন মহিলা কলেজের নিজস্ব প্যাড, গোলসিল ও স্বাক্ষরসিল। তার এই অভিনব ও নজিরবিহীন কান্ডের ঘটনায় হতবাক ও বিস্মিত হয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টদের কোনো কোনো কর্মকর্তা।

কারণ, কোন গেজেটেড অফিসার তার নিজের এমনকি নিকট আত্মীয়-স্বজনের শিক্ষা সনদসহ যেকোন ক্ষেত্রে সত্যায়ন/ প্রত্যয়ন করার বিধিসম্মত এখতিয়ার রাখেন না। অথচ তিনি সেই কান্ডটি ঘটিয়েছেন।

ভাতপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইলিয়াস উদ্দিন এর বিরুদ্ধে ওঠা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কটুক্তি করা, তার শিক্ষা সনদ, কলেজে নিয়োগ, ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে ১৩মে ২০২৫ পর্যন্ত আর্থিক অনিয়মসহ নানা অভিযোগের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটির সামনে উঠে এসেছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নিজের শিক্ষা সনদে তিনি নিজেই সত্যায়িত করার অভিনব ও নজিরবিহীন এই ঘটনা। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি বিশ্বস্ত সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগ ওঠা, ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইলিয়াস উদ্দিন গত (১৩মে ) বৃহস্পতিবার ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘ আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায়’ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তি করেন। ঘটনার তাৎক্ষণিক তীব্র প্রতিবাদ করেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইলিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে তার শিক্ষা সনদ, নিয়োগ, আর্থিক অনিয়মসহ একাধিক অভিযোগের বিচার দাবি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর বাদি হয়ে লিখিত আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভূপালী সরকার পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।

এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ ও নিন্দনীয় ওই ঘটনার প্রতিবাদে ঝিকরগাছা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ঘটনার তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন শেষে স্মারকলিপি প্রদান করেন।