পুষ্টিগুণে ভরপুর মাশরুম অভিজাত পরিবারের খাদ্য উল্লেখ করে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজহারুল ইসলাম বলেছেন, পুষ্টিরঘাটতি পূরণে ও আমিষের চাহিদা মেটাতে পুষ্টিসমৃদ্ধ মাশরুম চাষ বাড়াতে হবে। মাশরুম চাষ ও উৎপাদন বাড়াতে পারলে তা সকলের কাছে সহজলভ্য হবে। উদ্যোক্তা কৃষকেরাও হতে পারবেন আর্থিকভাবে লাভবান।
তিনি বেকারদের সমালোচনা করে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নিজে পরিশ্রম না করলে স্রষ্টাও তার ভাগ্য পরিবর্তনে সহায় হননা। তিনি বলেন, উদ্যোক্তা তারাই, যারা মন, শ্রম,মেধা ও অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে নিজের সফলতা অর্জনে সচেষ্ট হয়। আমরা তাদের খুঁজছি। সরকারের কৃষি বিভাগ তাদের সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
তিনি উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, বেকার কারা জানেন? বেকার হলো তারাই যারা শারীরিকভাবে কাজ করতে সক্ষম অথচ কাজ না করে অজুহাত খোঁজে। তারা অন্যের মুখাপেক্ষী হয়। নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করেনা।
তিনি মঙ্গলবার বিকালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের আয়োজনে ‘মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাস প্রকল্পের’ আওতায় ঝিকরগাছার মাগুরা ইউনিয়নের অমৃতবাজার গার্লস হাই স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত ‘মাঠ দিবস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, আমরা কৃষিভিত্তিক সব সেক্টরের উন্নতি দেখতে চাই। উদ্যোক্তা কৃষকের উন্নতি দেখতে চাই। সরকার সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। প্রধান অতিথি মাশরুম চাষের সফলতা কামনা করে উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, মাশরুম অভিজাত পরিবারের খাদ্য। শহরের নামিদামি হোটেল ও চাইনিজ রেস্টুরেন্টে ধনীরা এটা খাই।এর উৎপাদন বাড়ানো গেলে কৃষক যেমন লাভবান হবে তেমনি এটি সহজলভ্য হওয়ায় সাধারণ মানুষ নিরাপদ পুষ্টিকর খাবার হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, যশোর হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দীপঙ্কর দাস।
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভূপালি সরকার, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার আবু তালহা, উপ-পরিচালক (উদ্যান) প্রতাপ মন্ডল, ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, ঝিকরগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও মাশরুম চাষের সফল উদ্যোক্তা আলাউদ্দিন প্রিন্স।
অনুষ্ঠানে কৃষি বিভাগের বিভিন্ন ব্লকে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ, সুধি ও গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।