পরকীয়ার জেরে প্রতিবেশীকে কুপিয়ে হত্যা

আগের সংবাদ

ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ইবির ৩৫ শিক্ষার্থী

পরের সংবাদ

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে

যশোরে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অর্থ আত্মসাৎ ও অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁসের অভিযোগ

প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৫ , ১:২৮ অপরাহ্ণ আপডেট: মে ২৪, ২০২৫ , ১:২৮ অপরাহ্ণ

যশোরে জেলা ছাত্রদলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রাফার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, মোটা অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ এবং অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ফাঁসের হুমকীর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী মাহিনুর আক্তার মাহি কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী তরুণী কুমিল্লা জেলার আমতলী এলাকার বাসিন্দা।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ফেসবুকের মাধ্যমে রাফার সাথে মাহির পরিচয় হয়। রাফা তার “Avoure Rafa” আইডি থেকে মাহিনুরের “Mahi Islam” আইডিতে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান। এরপর তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে রাফা মাহির মোবাইল ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর সংগ্রহ করেন। এরপর তিনি মাহিকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে মাহি সরল বিশ্বাসে তাতে রাজি হয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করেন।

মাহি এজাহারে আরও উল্লেখ করেছেন, রাফা তাকে বারবার যশোরে আসার জন্য বললে তিনি গত বছরের ৫ অক্টোবর ঢাকা থেকে যশোরে আসেন। ওইদিন বিকেলে যশোর মনিহার সিনেমা হলের সামনে থেকে রাফা তাকে যশোর আইটি পার্কে নিয়ে যান। সেখানে আইটি পার্কের পঞ্চম তলার একটি কক্ষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মাহিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। শুধু তাই নয়, রাফা সুকৌশলে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে মাহিকে জানানো হয় যে তার কাছে কিছু অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও আছে এবং মাহি তার কথা না শুনলে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবেন।

ভিডিও ফাঁসের হুমকির মুখে অভিযুক্ত রাফা মাহির কাছে তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ২ লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ভিডিও প্রকাশের হুমকি দেন। ভয়ে মাহি রাফার দেয়া ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, যশোর শাখার একটি অ্যাকাউন্টে ২ লক্ষ টাকা প্রদান করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এবং বিকাশের মাধ্যমে আরও প্রায় ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করেন মাহি। এছাড়াও, মাহি সরাসরি রাফার হাতে আরও ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দেন। সব মিলিয়ে রাফা মাহির কাছ থেকে মোট ৮ লক্ষ ১০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

মাহি জানান, গত ২৩ মে রাত সাড়ে ৮টায় তার বান্ধবী স্বর্ণা খাতুনকে নিয়ে রাফার শংকরপুরের বাড়িতে যান এবং তার বাবা-মায়ের কাছে সম্পর্কের বিষয়ে বিস্তারিত জানান। রাফার বাবা-মা সম্পর্ক মেনে নেওয়ার কথা বললেও, রাফা তার বন্ধুদের মাধ্যমে মাহিকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেন এবং তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম রাফা বলেন, ওই মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু আমাদের মধ্যে কোন অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ঘটনা ঘটেনি। আর আমি কখনো তার কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা নেয়নি। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য সে এইসব করছে। রাফা আরও বলেন, সম্প্রতি অন্য একটা ছেলের সাথে ওই মেয়ের সম্পর্কের কথা আমি জানতে পারি। এরপর থেকে আমি তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করি। সেজন্য আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত জানিয়েছেন, অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়