অভয়নগরে ধোপাদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আগের সংবাদ

আওয়ামী লীগ সরকারের করা চুক্তিতে হাসিনাকে দেশে ফেরানো সম্ভব: দুদক চেয়ারম্যান

পরের সংবাদ

শিক্ষক সহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ মণিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতির বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৫ , ৭:২০ অপরাহ্ণ আপডেট: মে ১৪, ২০২৫ , ৭:২০ অপরাহ্ণ

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার দুর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সহকর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী শিক্ষকের দাবি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে বিদ্যালয়ের বারান্দায় মারধর করা হয়।

অভিযোগকারী শিক্ষকের নাম রবিউল ইসলাম। তিনি বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম এস এম মজনুর রহমান। তিনি আইসিটি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মণিরামপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি একটি জাতীয় দৈনিকের উপজেলা প্রতিনিধি ও মণিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি।

মারধরের ঘটনায় মজনুর রহমানের বিরুদ্ধে গতকাল রাতে মণিরামপুর থানা, জেলা প্রশাসক এবং মণিরামপুরের ইউএনওর কাছে পৃথক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রবিউল ইসলাম।

থানায় লিখিত অভিযোগে রবিউল ইসলাম উল্লেখ করেন, সহকারী শিক্ষক মজনুর রহমান বিদ্যালয়ের কোনো নিয়মনীতি মানেন না। তার ছেলে সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকায় তিনি সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দেখায়। বিদ্যালয়ের কোন নিয়ম নিতি না মানিয়া তার ইচ্ছামত চলাফেরা করেন। গতকাল সকালে তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বাড়িতে চলে যান। এরপর ইউএনও বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে এলে খবর পেয়ে তিনি আবার বিদ্যালয়ে ফেরেন। তখন বিষয়টি ইউএনওকে মৌখিকভাবে জানান রবিউল ইসলাম। ইউএনও বিদ্যালয় থেকে চলে যাওয়ার পর বেলা একটার দিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনের সামনে সব শিক্ষক–শিক্ষার্থীর সামনে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন মজনুর। একপর্যায়ে পাশের কক্ষ থেকে লাঠি এনে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। এতে তাঁর মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।

এসব অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করে মজনুর রহমান বলেন, ‘রবিউল ইসলাম ইউএনওর কাছে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নালিশ করেছেন। আমি বিষয়টি তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলাম। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে রবিউল মাথায় আঘাত লেগেছে।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার দাবি করেন, ইউএনওর কাছে অভিযোগ করা নিয়ে শিক্ষক রবিউল ও মজনুরের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তবে কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।

মারধরের ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ইউএনও নিশাত তামান্না ও মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী। তাঁরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়