পরিবেশ রক্ষা ও টেকসই উন্নয়নের দাবিতে যশোরের অভয়নগরের সচেতন নাগরিকদের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ কিছু দাবি তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র-শিবির যশোর জেলা পূর্বের সভাপতি এম এম আশিকুজ্জামান। গতকাল (সোমবার) তার ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব দাবি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
তিনি জানান, অভয়নগরের ভৈরব নদী ক্রমশই নাব্যতা হারাচ্ছে, যা স্থানীয় পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকি। নদীটি পুনরায় খনন করে জাহাজ চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলার দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি নদীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খালগুলোকেও পুনরায় খনন করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন, যা সুষ্ঠু পানি নিষ্কাশনের জন্য অপরিহার্য।
ইপিজেড এলাকা ও আশপাশের কলকারখানাগুলোর ব্যবহৃত পানি পরিশোধন বাধ্যতামূলক করার আহ্বান জানিয়ে আশিকুজ্জামান বলেন, অপরিশোধিত পানি পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে। তিনি ইপিজেড এলাকায় উন্নত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া কয়লা ও সার মজুতের স্থান মূল শহর থেকে অন্তত ১০ কিলোমিটার দূরে সরিয়ে নেওয়ার দাবি তোলেন তিনি, যাতে নগরবাসী পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা পায়। মহাসড়ক ও লোকাল সড়কগুলোর উন্নয়ন এবং রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নেরও প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। বিশেষ করে ঢাকা, মংলা, চট্টগ্রাম, বেনাপোল স্থলবন্দর ও যশোর বিমানবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানান।
জনসাধারণের জন্য বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, সরকারি টেন্ডার ও চাঁদাবাজি রোধ এবং স্থানীয় নাগরিকদের কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়েও জোর দেন তিনি।
শিক্ষাখাতে উন্নয়নের জন্য নওয়াপাড়া সরকারি কলেজের আধুনিকায়ন, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ, কয়েকটি বিদ্যালয়কে সরকারি ঘোষণার দাবি এবং একটি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি সরকারি হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ২৫০-তে উন্নীতকরণ এবং বেসরকারি হাসপাতালসমূহের কার্যক্রম সঠিকভাবে তদারকির দাবি জানান। পাশাপাশি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সিংগাড়ী ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতাল দ্রুত চালু করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
পরিশেষে, এম এম আশিকুজ্জামান অভয়নগরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সকল নাগরিকের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং কার্যকর সরকারি পদক্ষেপের আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।