সাতক্ষীরার কলারোয়ার মানিকনগরের আব্দুল গফুরসহ সাত বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীর বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, চাঁদাদাবি ও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার হুমকিসহ প্রায় ৬০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাটের অভিযোগে সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সাংসদ ওয়ার্কাস পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহ ও সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরসহ ৪৮ জনকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার সকালে সাতক্ষীরার আমলী আদালত-৪ এ মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী মানিকনগর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল গফুর গাজী। আদালতের বিচারক অনিমা মন্ডল মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর হিসেবে গণ্য করার জন্য কলারোয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামীরা হলেন, নীলকন্ঠপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ মাস্টার, মানিকনগর গ্রামের আব্দুর রহমান সানা ও আব্দুর রউফ সানা, খোর্দ্দবাটরা
গ্রামের হাবিব মাস্টার, মানিকনগর গ্রামের আকতার গাজী ও আমিরুল গাজী,উত্তর ক্ষেত্রপাড়ার রেজাউল বিশ্বাস, নীলকণ্ঠপুর গ্রামের সিরাজুল গাজী,
মারুফ দফাদার, আরাফাত দফাদার, আব্দুল শেখ, মোস্তাফিজুর শেখ, জয়নাল গাজী, মিজানুর সরদার, তবিবুর মোড়লসহ মোট ৪৮ জন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারী মামলার আসামীরা তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সংঘবদ্ধ হয়ে বাদী আব্দুল গফুর এবং এ মামলার স্বাক্ষী সিরাজুল ইসলাম, আলমগীর মাস্টার, কামরুজ্জামান, আনোয়ার গাজী, নাছির সানা ও জোহর আলী দপ্তরীর বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, চাঁদাদাবি ও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার হুমকিসহ প্রায় ৬০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করে।
এছাড়া আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা, গুম, খুন ওনিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ করা হয় ওই মামলায়। বাদী পক্ষের আইনজীবি এড. এ.টি.এম বাসারুতুল্লাহ আওরঙ্গী বাবলা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।