সাতক্ষীরায় কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বারসহ চোরাকারবারী আটক

আগের সংবাদ

অসুস্থ স্বামীর জন্য ডাক্তার ডাকতে গিয়ে মার-ধরের শিকার হলেন স্ত্রী

পরের সংবাদ

সাতক্ষীরা ইন্দিরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক বেলালের বিরুদ্ধে

নারী কেলেঙ্কারি ও কক্ষ মেরামতের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৪ , ৮:৩৯ অপরাহ্ণ আপডেট: এপ্রিল ৩, ২০২৪ , ৮:৩৯ অপরাহ্ণ

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ইন্দিরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান বিলাল ২০১৬ সালে পিটিআই প্রশিক্ষনকালে কয়রা উপজেলার এক মহিলা শিক্ষক রাজিয়া সুলতানার সাথে অবৈধ পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ন। তাদের অবৈধ মেলামেশা ধরাধরি হলে স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে সালিশ মিমাংসা হয়। এক পর্যায়ে রাজিয়া সুলতানা তার প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দেয় এবং ২০২৩ সালের মার্চ মাসে বিলালের সহযোগিতায় ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চুপড়িয়া স্কুলে বদলি হয়ে আসে ।

অতঃপর রাজিয়া সুলতানা সাতক্ষীরা শহরের জনৈক প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাসন করতে থাকে এবং বিলালের সাথে অবৈধ মেলামেশা চালিয়ে যায়। এক রাতে পুলিশের হাতে ধরা পড়লে বাড়ির মালিক তাকে তদবীর করে ছাড়িয়ে নেন এবং বাড়ি থেকে বের করে দেন। রাজিয়া সুলতানা পার্শবর্তী অন্য এক বাসা ভাড়া করে বসবাস করেন এবং বেলালের সাথে অবৈধ মেলামেশা চালিয়ে যেতে থাকে। বিষয়টি পত্র-পত্রিকা সংবাদ প্রকাশিত হতে থাকলে বেলাল তার অন্যতম সহযোগী এবং মদদদাতা এটিইও রবিউলের পরামর্শে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এক ভুয়া কাবিন তৈরী করে রাজিয়া সুলতানার সাথে বিবাহের ঘোষনা জনসম্মুখে আনে। কাবিনে উকিল ও স্বাক্ষী হয় তার মদদদাতা এটিইও রবিউল। এই কাবিন সম্পর্কে জনমনে সন্দেহ রয়ে যায়।

এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল গনির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজিয়া সুলতানাকে তার বদলির ভিত্তি স্বরূপ প্রমান কাগজ পত্র চেয়ে লিখিত নোটিশ দেয়া হয়েছে। কাগজপত্র জমা দিলে প্রকৃত তথ্য জানা যাবে। এছাড়া গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোট কেন্দ্র হিসাবে ইন্দিরা স্কুলে কক্ষ সংস্কার বাবদ নির্বাচন কমিশন হতে দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ ছিল। প্রধান শিক্ষক বেলাল প্রায় ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাত করে। সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে সে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ১১৯৭ কেজি রডের ১৩০ টাকা কেজি দরে এক লক্ষ পঁচাত্তর হাজার ছয়শত দশ টাকার ভাউচার জমা দেয়। কিন্ত প্রকাশ্য জন সম্মুখে তদন্ত কালে উক্ত রডের গ্রীল খুলে ওজন করে মাত্র ৬০০ কেজি রডের হিসাব পাওয়া যায়। বাকি ৫৯৭ কেজি রডের মূল্য স্বরূপ ৭৭ হাজার ৬ শত ১০ টাকা সে আত্মসাত করে বলে প্রমানিত হয়।

বেলালের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, সরকারি অর্থ আত্মসাত, ছাত্র/ছাত্রীদের মারধোর, অষ্টম শ্রেনীর বালেক মেয়েদেরকে কুরুচিকর প্রস্তাব, স্কুল কমিটি ও অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার এবং অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ ইত্যাদি বিষয়ে অভিযোগ এনে ইন্দিরা স্কুলের এসএমসি ও গ্রামবাসি দুইশত পঞ্চাশ জনের অধিক মানুষের গণস্বাক্ষর সহ কতৃপক্ষের বরাবর দাখিল করলে উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ হতে উপজেলা যুব-উন্নয়ন কর্মকর্তা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা প্রসাশনের পক্ষ হতে শ্যামনগর উপজেলার এটিইও প্রকাশ চন্দ্র কে তদন্ত কার্যের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। পৃথক পৃথক তদন্তে শতশত মানুষের সম্মুখে উক্ত অভিযোগের সবগুলোরই সত্যতা মেলে। অধিকন্তু এই অভিযোগ কর্তৃপক্ষ বরাবর উত্থাপন না করার জন্য এসএমসির সভাপতিকে দুই লক্ষ টাকা উৎকোচ প্রদানের প্রস্তাব দিলে সভাপতি তা প্রত্যাখ্যন করেন।

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান বিলালের বক্তব্য নেওয়ার জন্য বারবার ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেননি। সুশীল সমাজ ও এলাকাবাসী উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানায়, ভবিষ্যতে এরকম দুশ্চরিত্র শিক্ষকের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।

এপ্রিল ০৩, ২০২৪, at ২০:৩৫ (GMT+06) রূপ্র/আক/ঢাঅ/আ.হা.

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়