দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে বড় পরিবর্তন আনল সরকার। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী এখন থেকে কোনো অপারেটরে বিদেশি বিনিয়োগ সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত সীমিত থাকবে। ফলে শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন বাংলালিংককে ছাড়তে হবে ১৫ শতাংশ এবং রবিকে ছাড়তে হবে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ শেয়ার।
নতুন এই নীতিমালায় ফাইবার অপটিক্স, টাওয়ারসহ অবকাঠামো খাতে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ উন্মুক্ত করা হয়েছে। আগে যেখানে ২৬ ধরনের লাইসেন্স ছিল, এখন থেকে মাত্র চার ধরনের লাইসেন্সেই টেলিযোগাযোগ খাতের সব সেবা দেওয়া হবে। গত ৪ সেপ্টেম্বর উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর সোমবার এ-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়।
সরকারের দাবি, পুরোনো নীতিমালা অকার্যকর হয়ে পড়ায় সেবার মান উন্নয়ন, অবকাঠামো ভাগাভাগি ও বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে গ্রাহকরা পাবেন আরও সাশ্রয়ী ও উন্নতমানের ভয়েস ও ডেটা সেবা। একইসঙ্গে অপারেটরদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে, স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্যও নতুন সুযোগ তৈরি হবে।
তবে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সংগঠনগুলো বলছে, নতুন নীতি বড় বিদেশি কোম্পানির একচেটিয়া আধিপত্য তৈরি করবে। এতে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং ডিজিটাল সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
নীতিমালায় বিদেশি বিনিয়োগ সীমা নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়েই এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কাগজে-কলমে নয়, মাঠপর্যায়ে সঠিক প্রয়োগই হবে এই নীতির বড় চ্যালেঞ্জ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।