শ্যামনগরের ইউএনও’র বদলি ঠেকাতে মানববন্ধন

আগের সংবাদ

ইবির লালন শাহ হলে শতাধিক সুপারির চারা রোপণ

পরের সংবাদ

“এক ব্রিজ ভেঙেছে, অপরটি মৃত্যুফাঁদ: টঙ্গীতে দুর্ঘটনার কাউন্টডাউন”

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫ , ৮:৫২ অপরাহ্ণ আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫ , ৮:৫২ অপরাহ্ণ

রাজধানীর উত্তরা ও গাজীপুর অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ছিল তুরাগ নদের ওপর নির্মিত টঙ্গী-আব্দুল্লাহপুর সংযোগ সেতু। তবে বিআরটি প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় পুরনো আরসিসি সেতু ভেঙে সেখানে একটি ফ্লাইওভার এবং নিচে দুটি অস্থায়ী বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে একটি বেইলি ব্রিজ ইতোমধ্যে ভেঙে পড়েছে, অন্যটি রয়েছে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। ফলে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন হাজারো মানুষ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভুল পরিকল্পনা ও নকশার কারণে নির্মিত নতুন সেতু সাধারণ মানুষের কোনো কাজে আসছে না। টঙ্গী বাজার থেকে ঢাকামুখী সেতুটি চালু হলেও উত্তরা-আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজীপুরমুখী সংযোগ সেতুটি এখনো উন্মুক্ত করা হয়নি। তাছাড়া এর উচ্চতা এতটাই বেশি যে, পায়ে চলা সাধারণ মানুষ কিংবা রিকশা-ভ্যান চালকদের জন্য ব্যবহার করা প্রায় অসম্ভব।

ফলে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, পথচারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে নিচের জরাজীর্ণ বেইলি ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করছেন। প্রতিদিনই এ পথে অটো, সিএনজি, পিকআপ ও প্রাইভেট কারসহ ছোটখাটো যানবাহন চলাচল করছে। এলাকাবাসীর আশঙ্কা—যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের অন্যতম প্রাচীন পাইকারি বাজার টঙ্গী বাজার এখন বড় ধরনের ধাক্কায় পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ এড়াতে অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা অন্যত্র চলে যাচ্ছেন, ফলে ব্যবসায় ধস নেমেছে।

বিগত সময়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা ও শিক্ষার্থীরা নতুন সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ এখনো চোখে পড়েনি। এরই মধ্যে সেতুর দুই প্রান্তের সড়কেও বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।

এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফ্লাইওভারের নিচে থাকা বেইলি ব্রিজের বিভিন্ন অংশে মরিচা পড়ে গেছে, ফাটলও দেখা দিয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড থাকলেও তা মানছেন না কেউ।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “উত্তরা আব্দুল্লাহপুর মাছের আড়ত থেকে টঙ্গীর মাজার এলাকায় ফেরার জন্য এই ব্রিজই একমাত্র সহজ পথ। ফ্লাইওভার ব্যবহার করলে প্রায় দুই কিলোমিটার ঘুরতে হয়। অথচ এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন জীবন বাজি রেখে চলাচল করতে হচ্ছে।”

অতি দ্রুত স্থায়ী নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। তবে গাজীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ কিংবা সেতু বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়