অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে ৪৪৫ কোটি টাকায় ২৮০ টি গাড়ি কেনা নিয়ে বিতর্ক

আগের সংবাদ

চবি শিক্ষার্থী মামুনের মাথায় জটিল অস্ত্রোপচার, খুলি রাখা হলো ফ্রিজে

পরের সংবাদ

আ.লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা, নূরুদ্দীনের দাবি ‘আমি আজীবন বিএনপি’

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫ , ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ আপডেট: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫ , ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আলোচনায় এসেছেন গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নূরুদ্দীন মাতুব্বর। হঠাৎ করেই তিনি আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছেন, তিনি আসলে সবসময় বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গট্টি ইউনিয়নের মাদ্রাসা গট্টি এলাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সামনে এ ঘোষণা দেন তিনি।

নূরুদ্দীন মাতুব্বর বলেন, ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপির ইউনিয়ন কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৬ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন এবং প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে কাজ করেছেন। তার দাবি, কে বা কারা তাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে, সে বিষয়ে তিনি জানেন না। তিনি বলেন, “আমাকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে কখনোই পাওয়া যাবে না। আমি বিএনপির কর্মী ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।”

সংবাদ সম্মেলনে আবেগঘন কণ্ঠে নূরুদ্দীন আরও অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের চাপে তিনি হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। এমনকি জেল খাটতে হয়েছে তাকে। চাপ সৃষ্টি করে তার নাম আওয়ামী লীগে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও তিনি কখনো এ দলে সক্রিয় ছিলেন না। প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমানকে নিজের রাজনৈতিক গুরু উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তিনি একাধিকবার আমার বাড়িতে এসেছেন এবং আমার পরিবারের সঙ্গে খেয়েছেন।”

এ সময় নূরুদ্দীন অভিযোগ করেন, একটি কুচক্রী মহল তাকে আওয়ামী লীগের পদে বসিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, যদি তার নাম আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে থাকে, তবে আজ থেকেই তা প্রত্যাহার করলেন।

বর্তমানে নূরুদ্দীন মাতুব্বর গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য। তার বাড়ি ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি গ্রামে। উপজেলা বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, তিনি সবসময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য সূত্র দাবি করছে, নূরুদ্দীন বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি।

সংবাদ সম্মেলনে নূরুদ্দীনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী নুর আলম, ইউনুস মোল্লা, সাবান খান, ইসহাক মাতুব্বর, সায়েদ মীর, আফতার খান, শুকুর খান, পাঞ্জু মাতুব্বরসহ শতাধিক নেতাকর্মী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়