সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দীর্ঘদিন ধরে খানা-খন্দে ভরে গেছে। এলজিইডি নির্মিত পিচঢালা সড়কটি আমিনের মোড় থেকে মোটরসাইকেল গ্যারেজ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ভেঙে তৈরি হয়েছে বড় আকৃতির গর্ত, যা যানবাহন চলাচলের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাশেদ হোসেন খোকার রাইস মিলের সামনে প্রায় ৯০০ ফুট দীর্ঘ এবং ২২ ফুট চওড়া সড়কজুড়ে রয়েছে একাধিক বড় গর্ত। সড়কটি আশাশুনির অন্যতম প্রধান যাতায়াতপথ, যা সাতক্ষীরা-কলারোয়া এবং সাতক্ষীরা-বড়দল রুটের বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনের চলাচলের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সড়কটির পাশেই রয়েছে সোনালী ব্যাংক, সেটেলমেন্ট অফিস ও একটি জামে মসজিদ। প্রতিদিন শত শত মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। বিশেষ করে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা জলাবদ্ধতা ও রাস্তার খারাপ অবস্থার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী জানান, বিগত তিন বছর ধরে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়নি। আশাশুনি বাজার বণিক সমিতির সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেন, চা দোকানি নুরুজ্জামান বাবু এবং বাজার কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন প্রিন্স জানান, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও ভ্যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি। তারা বলেন, বারবার অভিযোগ করেও কোনও স্থায়ী সমাধান মেলেনি।
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নরেশ কুমার মণ্ডল এবং সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মরত তাহাজ্জত হোসেন বলেন, গ্রাহকরা নিয়মিতভাবে ভোগান্তিতে পড়ছেন, তাই জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী অনিন্দ্য দেব জানান, সড়কটি ইতোমধ্যেই এসটিভিটি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং জরিপের জন্য লোক পাঠানো হয়েছে। দ্রুততম সময়ে সংস্কারের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
এলাকাবাসীর দাবি, রাস্তাটি দ্রুত মেরামত না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়বে এবং জনদুর্ভোগ আরও চরমে পৌঁছাবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।