চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মাধবপুর গ্রামে ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ড। শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে নিজ ঘরে নির্মমভাবে গলাকেটে হত্যা করা হয় মনিরুল ইসলাম ফেলা (৫০) নামে এক দিনমজুরকে। ঘটনাটি ঘটেছে দিনের আলো থাকতেই, যা এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক ও শোকের ছায়া ফেলেছে।
নিহত মনিরুল ইসলাম একই উপজেলার বালিহুদা গ্রামের মৃত দিদার উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন। মাসখানেক আগে তিনি স্ত্রী পাপিয়া খাতুনকে নিয়ে মাধবপুর গ্রামে জমি কিনে বসবাস শুরু করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে কোনো এক সময় অজ্ঞাত ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা মনিরুলকে গলাকেটে হত্যা করে। দুপুর ১টার দিকে ঘরের ভেতর মনিরুলের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী জীবননগর থানা পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনার সময় তার স্ত্রী পাপিয়া খাতুন বাড়িতে ছিলেন না। ঘটনার পর থেকেই তিনি ও তার ছেলে রাজু (২৫) পলাতক রয়েছেন।
নিহতের ছেলে রাজু, যিনি শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে থাকেন, প্রতিবেশী আকিদুল ইসলামের মোবাইল নম্বরে ফোন করে তার বাবার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে। আশা করছি দ্রুতই ঘটনার মূল কারণ ও জড়িতদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে।”
এদিকে, এমন একটি জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মাধবপুরসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কে বা কারা এবং কী উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কিছু জানা না গেলেও পুলিশের তদন্তে শিগগিরই বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।