সরকারি চাকরিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কড়া বার্তা দিল সরকার। “সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে এই অধ্যাদেশ কার্যকরের ঘোষণা আসে।
এর আগে ৩ জুলাই উপদেষ্টা পরিষদ অধ্যাদেশটির অনুমোদন দেয় এবং লেজিসলেটিভ বিভাগের ভেটিং শেষে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়।
কী রয়েছে সংশোধিত অধ্যাদেশে?
নতুন আইন অনুযায়ী, যদি কোনো সরকারি কর্মকর্তা বৈধ নির্দেশনা অমান্য করেন, আদেশ বাস্তবায়নে বাধা দেন কিংবা অন্যকে প্ররোচিত করেন—তবে তাকে “সরকারি কাজে বিঘ্ন ঘটানো অসদাচরণকারী” হিসেবে গণ্য করা হবে।
এই অপরাধের জন্য থাকছে ৩টি কঠোর শাস্তির বিধান:
পদমর্যাদা ও বেতন গ্রেডে অবনমন
বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান
চাকরি থেকে বরখাস্ত
তদন্ত ও আপিল প্রক্রিয়া:
অভিযোগ গঠনের ৭ কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশ দেওয়া হবে অভিযুক্তকে।
অভিযোগ পাওয়ার ৩ কার্যদিবসের মধ্যে গঠিত হবে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি।
তদন্ত শেষ করতে হবে ১৪ দিনের মধ্যে (যৌক্তিক কারণে ৭ দিন বাড়ানো যাবে)।
অভিযুক্তের জবাব চাওয়া হবে এবং চাইলে ব্যক্তিগত শুনানির সুযোগ থাকবে।
তদন্ত শেষে রিপোর্ট সরবরাহ ও সর্বোচ্চ ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে আপিলের সুযোগ দেওয়া হবে (রাষ্ট্রপতির আদেশ ছাড়া)।
তবে এবার বাদ দেওয়া হয়েছে সেই বিতর্কিত ধারা, যেখানে বলা হয়েছিল—“কোনো কর্মকাণ্ড অন্য সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করলে তা অপরাধ হবে।”
স্থান: বাংলাদেশ, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়
তারিখ: ২৩ জুলাই ২০২৫
প্রকাশ মাধ্যম: সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তি
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।