সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার উত্তর পারুলিয়া চারাবটতলা গ্রামে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ১২ জুলাই (শুক্রবার) বিকাল ৪টায় উত্তর পারুলিয়া মৃধাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এ মানববন্ধনে এলাকার শতাধিক সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতা আয়ুব হোসেন ও ছাত্রদল নেতা অহেদ আলীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে একই এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি। এদের মধ্যে রয়েছেন—তারেক মনোয়ার, ইমরান হোসেন শিমুল, কথিত সাংবাদিক মোজাহিদ ও তরিকুল ইসলাম। তারা গত ৯-১০ জুলাই ফেসবুকে ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এবং থানায় ভিত্তিহীন অভিযোগ দাখিল করে হয়রানি করে আসছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আব্দুল মান্নান (৭০), যিনি বলেন, “আমি আয়ুব ও অহেদকে ছোটবেলা থেকে চিনি, তারা কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত না। যারা তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
বেলাল হোসেন জানান, “আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত পারিবারিক বিরোধ থাকা সত্ত্বেও তরিকুল ও তারেক মিথ্যা মামলায় আমাকে জড়াতে চাইছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
মানববন্ধনে উপস্থিত তরিকুলের আত্মীয় রিজিয়া বেগম ও লাভলী খাতুন অভিযোগ করেন, তরিকুল ও তারেক নারীপ্রতারণাসহ বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা একটি এতিম ছেলের কাছ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়েও জমি হস্তান্তর করেনি।
তাসলিমা খাতুন অভিযোগ করেন, “ঘটনাস্থলে না গিয়ে কথিত সাংবাদিক মোজাহিদ টাকা খেয়ে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করেছে, যা দুঃখজনক। তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
বক্তারা দেবহাটা থানার ওসির প্রতি আহ্বান জানান— সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হলে এলাকাবাসী কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
বিএনপি নেতা আয়ুব হোসেন বলেন, “আমি দীর্ঘদিন হয়রানির শিকার হয়েছি। বর্তমানে আমি সৎভাবে ব্যবসা করছি। কিন্তু একটি মহল তা মেনে নিতে পারছে না। তারা আমার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমি প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।