ওজন কমাতে আমরা কী না করি! তার পরও ওজন কমছে না। এ তালিকায় রয়েছে জিমে গিয়ে কঠোর ব্যায়াম, এমনকি কম ক্যালরির খাবারও। এর পাশাপাশি রয়েছে ১০ হাজার কদম হাঁটার ব্যায়ামও। হাঁটার এই পদ্ধতিটি একটি উপকারী ব্যায়াম হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
তবু চর্বি পোড়ানোর কার্যকর উপায় হিসেবে হাঁটাকে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়।
ফিটনেস কোচ বিমল রাজপুত মনে করেন, হাঁটা চর্বি পোড়ানোর সবচেয়ে অবমূল্যায়িত উপায়। তার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে তিনি বলেছেন, প্রতিদিন ১০ হাজার কদম হাঁটা প্রায় ৫০০ ক্যালরি পোড়াতে পারে, যা প্রতি সপ্তাহে সাড়ে ৩ হাজার ক্যালরি তথা ১ পাউন্ড চর্বি পোড়ায়।
১০ হাজার কদম হাঁটা ও মেদ কমানোর উপায়
বিমল রাজপুত জোর দিয়ে বলেন, ‘১০ হাজার কদম হাঁটা ওজন কমাতে বা মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
এটি চর্বি কমানোর সবচেয়ে অবমূল্যায়িত উপায়। আপনাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিমে প্রশিক্ষণ নিতে হবে না। আপনার শরীরকে ক্লান্ত করতে হবে না। আপনাকে দীর্ঘ দৌড় ও প্রচুর ঘাম ঝরাতে হবে না।
শুধু বাইরে ঘুরে আসুন এবং শরীর নড়াচড়া শুরু করুন।’
হাঁটা কেন অভিজাত
হাঁটা কেন ব্যায়ামের অভিজাত রূপ—তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিমল বলেন, ‘হাঁটার তীব্রতা কম, এর জন্য আপনার শরীরকে একবার হাঁটার পর পরেরবার হাঁটার জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি নিতে হয় না। তবে কঠোর ব্যায়ামে পর সর্বদা আপনার শরীরকে সুস্থ করতে বিরতি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।’
এই ফিটনেস কোচের মতে, এর অর্থ হলো—আপনি জিমে ভারোত্তলনের সেশনে আরো বেশি প্রচেষ্টা করতে পারবেন। হাঁটা ও ভারোত্তলন—দুটি একসঙ্গে করলে আপনার চর্বি গলে যাবে।
আপনাকে হাঁটার জন্যও খুব বেশি সময় ব্যয় করতে হবে না। এমনকি আপনি সারা দিনে একটি নির্দিষ্ট সময় ভাগ করে নিতে পারেন। এ ছাড়া হাঁটার কদম গণনা নিয়েও চিন্তা করবেন না—যেখানেই এবং যখনই পারেন আরো বেশি করে নড়াচড়া করুন।
এ ছাড়া তিনি একটি ওয়াকিং প্যাড কেনার পরামর্শও দিয়েছিলেন। যারা খুব বেশি বাইরে যেতে পারেন না, তাদের জন্য এটি একটি গেম চেঞ্জার বলে অভিহিত করেন তিনি। ‘আমাকে ভুল বুঝবেন না, বাইরের বাতাসে হাঁটা আর ওয়াকিং প্যাড এক নয়। কিন্তু আপনি যদি ব্যস্ত থাকেন এবং খুব বেশি বের হতে না পারেন, তাহলে এটি আপনার পায়ের ব্যায়ামের জন্য একটি নিখুঁত উপায়,’ বলেও মন্তব্য করেন বিমল।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।