আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভে
১ ঘণ্টা ১১ মিনিটের ওই আলোচনায় আওয়ামী লীগের সরকারের আমলের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা টানেন হাসিনা। নিজের বক্তৃতার একটি বড় অংশ জুড়ে আক্রমণ শানান সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে। আওয়ামী লীগের নেত্রীর দাবি, “আমরা আমাদের প্রতিপক্ষের সঙ্গে এমন ব্যবহার করিনি। কিন্তু ইউনূস (করছে) ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য।”
ইউনূসকে ‘সুদখোর’ এবং ‘মানবতাবিরোধী’ বলেও আক্রমণ শানান তিনি। গোটা বক্তৃতায় বার বার আসে ‘বিচারে’র কথা। হাসিনা বলেন, “যারা এই জঘন্য কাজ করেছে, তাদের বিচার বাংলাদেশে হতেই হবে। সেটি আমরা করবই। শহিদ পরিবারদের বলব, আপনারা ধৈর্য্য ধরুন।”
বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’-এর মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান-সহ অন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে দেওয়ার বার্তাও দেন তিনি।
বস্তুত, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ দৃশ্যত কোণঠাসা। এ দিকে বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইউনূস জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বেশ কিছু জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঝটিকা মিছিলের খবরও প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতেও এই ধরনের ঝটিকা মিছিল ঘটেছে।
বাংলাদেশে হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চলছে। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ সূত্রে খবর, হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে ওই ঝটিকা মিছিলটি হয়েছিল ঢাকায়।
সূত্র: আনন্দবাজার
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।