সাবেক বিচারপতি মানিক ভারতে পালানোর সময় সীমান্তে গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

রবিবার থেকে যে সূচিতে চলবে মেট্রোরেল

পরের সংবাদ

১১৭ রানের লিড বাংলাদেশের

ডাবল সেঞ্চুরি না পেলেও দারুণ সব রেকর্ড গড়েছেন মুশফিকুর রহিম

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৪ , ৫:৫৮ অপরাহ্ণ আপডেট: আগস্ট ২৪, ২০২৪ , ৬:১৫ অপরাহ্ণ

পাকিস্তানের রানপাহাড়ের জবাবে তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন মুশফিকুর রহিম। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশিদের মধ্যে টেস্টে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডের পর চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছিও পৌঁছে গিয়েছিলেন। তবে ডাবল থেকে ৯ রান দূরে থেকে আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়েন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে চতুর্থ দিনে চা-বিরতির আগে ৬ উইকেটে ৪৯৫ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। এরপর সাবলীল ব্যাটিংয়ে দলীয় রান পাঁচশ পার করেন মুশফিক-মিরাজ। এরপরই মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরির দিকে নজর ছিল সবার। তবে মোহাম্মদ আলির অফস্টাম্পের বাইরে লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা মেরে বসেন তিনি। এরপর নিজের হতাশা লুকাতে পারেননি তিনি। ১৯১ রান করে উইকেটের পেছনে রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার।

তার বিদায়ে ৫২৮ রানে সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এতে মিরাজের সঙ্গে তার ১৯৬ রানের জুটিও ভাঙে। ১৬৫ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৫৪৮ রান তুলেছে বাংলাদেশ। অপরাজিত মিরাজ ১৭৪ বলে ৭২ রান করেছেন। অন্যপ্রান্তে ১২ রান করেছেন শরিফুল।

এদিকে ডাবল সেঞ্চুরি না পেলেও দারুণ সব রেকর্ড গড়েছেন মুশি। ক্যারিয়ারের ৮৯তম টেস্ট ম্যাচ খেলছেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। প্রথম ও একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে ১০০ টেস্ট থেকে বহু ক্রোষ দূরে না তিনি। ৩৭ বছর ১০৭ দিন বয়সেও দলের আস্থার এক নাম তিনি।

টেস্টে তিনিই সবচেয়ে বেশি রান করেছেন। লাল-বলের ক্রিকেটে ৬ হাজার রান থেকে খানিকটা দূরে তিনি। তার সেঞ্চুরির মধ্য দিয়ে প্রায় ২১ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে সেঞ্চুরি করলো কোনো বাংলাদেশি। এর আগে, ২০০৩ সালে হাবিবুল বাশার ও জাভেদ ওমর পাকিস্তানের মাটিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন। বিদেশের মাটিতে সেঞ্চুরিতে তামিমকে ছাড়িয়ে গেছেন মুশফিক। ১১ সেঞ্চুরির পাঁচটিই দেশের বাইরে করেছেন তিনি। যেখানে চারটি সেঞ্চুরি করেছেন তামিম। সব ফরম্যাট মিলিয়ে ২০টি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। তার ওপরে কেবল তামিম (২৫টি সেঞ্চুরি)।

এর আগে, ১৩২ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। দিনের শুরুতেই শতরান পেরিয়ে যায় মুশফিকুর ও লিটন জুটি। তবে এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটন। আগের দিনে নাসিম শাহকে বড্ড ভুগিয়েছিলেন লিটন। এই পেসারের এক ওভারে ১৮ রান তুলে নিজের ফিফটি পূর্ণ করেছিলেন এলকেডি। সেই নাসিমই লিটনকে ফেরান।

চতুর্থ দিনের নবম ওভারে নাসিমের হাত ধরে প্রথম সাফল্য পায় পাকিস্তান। নাসিমের অফ-স্টাম্পের বাইরে শট লেংথের ডেলিভারি কাট করতে চেয়েছিলেন লিটন। তবে ব্যাটের কিনারায় লেগে সরাসরি উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে গিয়ে পড়ে। লিটন ফেরায় তাদের ১১৪ রানের জুটি ভাঙে। ফেরার আগে ৫৬ রানের ইনিংস সাজান উইকেটকিপার এই ব্যাটার।

এরপর মেহেদী মিরাজকে সঙ্গে গিয়ে দলীয় রানের চাকা সচল রাখেন মুশফিকুর রহিম। পিচ আঁকড়ে ধরে ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরিও তুলে নেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। দ্য গ্রিন ম্যানদের বিপক্ষে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। সব মিলিয়ে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে পাকিস্তানের মাটিতে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁলেন মুশি। এই সেঞ্চুরিতে তামিম ইকবালকেও (১০টি সেঞ্চুরি) যান তিনি। মুশফিকের সেঞ্চুরির পরপর ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৮৯ রান নিয়ে মধ্যাহ্নবিরতিতে যায় লাল-সবুজেরা।

মধ্যাহ্নবিরতি থেকে ফেরার পর দেখেশুনে খেলে দেড়শ রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন মুশি। ২৮৬ বলে ১৫০ ছুঁয়েছেন তিনি। এর আগে, দ্বিতীয় সেশনে প্রথম ইনিংসের ১৩৭তম ওভারে লিড নেয় বাংলাদেশ। মিরাজও ফিফটির দেখা পেয়ে যান। ক্যারিয়ারের সপ্তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।

চা বিরতির আগে ১২৪ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। অন্যপ্রান্তে ৩১৪ বলে ১৭৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৯৫ রান নিয়ে চা বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এর আগে, দ্বিতীয় দিনে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৪৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। রিজওয়ান ২৩৯ বলে ১৭১ রানে এবং শাহিন শাহ আফ্রিদি ২৪ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। এ ছাড়া সৌদ শাকিল করেন ১৪১ রান।

লাল-সবুজের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন হাসান ও শরিফুল। এ ছাড়া সাকিব এবং মেহেদীর শিকার একটি করে উইকেট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়