পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদনে ফিরল মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র

আগের সংবাদ

মেট্রোরেল চালু হতে পারে কবে : মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ

পরের সংবাদ

আদালতে কাঁদলেন দীপু মনি, ফাঁসির দাবিতে স্লোগান

প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৪ , ৭:৫৭ অপরাহ্ণ আপডেট: আগস্ট ২০, ২০২৪ , ৭:৫৭ অপরাহ্ণ

মুদি দোকানি আবু সায়েদকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই মামলায় সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।

রিমান্ড শুনানির আগে আদালতে হাজির করার সময় কান্না করতে থাকেন দীপু মনি। এমনকি শুনানি চলাকালেও তিনি কাঁদতে থাকেন। এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তার ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। মঙ্গলবার দীপু মনি ও আরিফ খান জয়কে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, এদিন বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে দীপু মনি ও আরিফ খান জয়কে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। এরপর তাদের আদালতের গারদখানায় রাখা হয়। গারদখানা থেকে সিএমএম আদালতের দুই তলায় ২৮ নম্বর কোর্টে তোলা হয়। এ সময় দীপু মনি কাঁদছিলেন। তবে জয় ছিলেন চুপচাপ। এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তাদের ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর তাদের রিমান্ড শুনানি শুরু হয়। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। তবে দীপু মনি ও আরিফ খান জয়ের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।

দীপু মনির কান্না তখনো থামেনি। এ সময় জয় কিছু বলতে চান। আদালত কথা বলার অনুমতি দেননি। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক দীপু মনির চার ও জয়ের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর তাদের আদালত থেকে বের করে হাজতে নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে গত ১৯ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে মোহাম্মদপুর থানার বছিলায় ৪০ ফিট চৌরাস্তায় মুদি দোকানি আবু সায়েদ নিহত হন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়