রাবার বুলেট -ফাঁকা গুলি, সেনাবাহিনীর অবস্থান
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদিরা বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কারারক্ষীরা রাবার বুলেট ছুঁড়েন এবং ফাঁকা গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে কারাগারে অবস্থান নেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। কারাগারে বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজার বন্দী রয়েছে।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের গেইটে দায়িত্বরত কয়েকজন কারারক্ষী বলেন, দুপুরে নামাজ পড়া শেষে হঠাৎ কারাগারের একাধিক ভবনে কয়েদিরা বিক্ষোভ শুরু করেন। আমাদের পক্ষ থেকে ফাঁকা গুলি করা হয়েছে। ভেতরে কারারক্ষীদের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করতে পারিনি। বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনী। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
কারাগারের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে প্রবেশ করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ফটকের সামনে উৎসুক জনতার ভিড়। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বেলা পৌনে দুইটার দিকে কারাগারের ভেতরে বন্দীরা বিক্ষোভ শুরু করলে, পাগলা ঘণ্টা বাজানো হয়। এরপর পর তারা গোলাগুলি শব্দ শুনতে পান। বেলা ২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত গোলাগুলি শব্দ শুনতে পান প্রধান ফটকের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন ও দোকানদারেরা।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, কিছু কয়েদি উচ্ছৃঙ্খলতার চেষ্টা করেছে। ছাত্ররা অনেকেই জামিনে বের হয়েছেন। সেই সুযোগে তারাও বিক্ষোভ করে বের হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সেটিকেই আমরা প্রতিহত করেছি এবং সেনাসদস্যরা এসে তাদেরকে শান্ত করেছেন। এখন সবাই শান্ত এবং লকাপে আছে। কেউ আহত হয়ে থাকলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর উৎসুক জনতা চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। তখন কারারক্ষীরা গুলি ছুড়লে উৎসুক জনতা সরে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ইমন নামে এক যুবক।###রূপম ভট্টাচার্য্য,চট্টগ্রাম
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।