রাতের আঁধারে বিবস্ত্র করা হল মন্দিরের প্রতিমার বস্ত্র

আগের সংবাদ

পুরোনো গাড়ির দৌরাত্ম্যে ঢাকার আকাশ কালো, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

পরের সংবাদ

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: ২ মাসেও পাশে নেই কেউ, পরিবারের ৮ দফা দাবি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫ , ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫ , ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ

রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা নিহত ও গুরুতরভাবে আহত হওয়ার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও পরিবারগুলোর কাছে এখনো সরকারি সহায়তার অনুপস্থিতি নিয়ে তীব্র আক্ষেপ চলছে। নিহত এক ছাত্রের বাবা রেজাউল করিম শামীম কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন, স্কুল শেষ হলে ছেলেকে নিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন — ছেলের ঠিক পাশে বিমান আছড়ে পড়ে এবং মুহূর্তের মধ্যে তার একমাত্র সন্তান আগুনে ঝলসে যায়; ছেলেটিই একবার চিৎকার করে বলেছিল “বাবা” — সেই আহাজারি আজও তার কানে বাজে।

পাষণ্ড স্মৃতি আর চিকিৎসার দীর্ঘ যন্ত্রণা নিয়ে আহতদের অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, দুর্ঘটনার পর দুই মাস অতিক্রম করলেও তাদের পাশে শূন্যতা বজায় আছে — ন্যায্য ক্ষতিপূরণ, দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের নিশ্চয়তা তৎক্ষণাৎ দেওয়া হচ্ছে না। রায়হান তৌফিকের বাবা মনির হোসেন সুমন জানান, তার ছেলের শরীরের ২২% পুড়ে গেছে; ৫৫ দিন হাসপাতালে থাকার পর বাড়ি ফিরলেও স্পেশাল কোর্ট, বিশেষ পোশাক ও নিয়মিত ফিজিওথেরাপি না থাকলে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা বেঠিক। অপর একজন বাবা বললেন, তার দুই সন্তানের একমাত্র আলো নিভে গেছে — এমন দুঃখ কোথায় ধার করেই থাকবে?

আহত ও নিহতদের পরিবারের হবে উপস্হিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা নয়টি নয়, আট দফা দাবি উত্থাপন করেছেন — সঠিক, স্বতন্ত্র ও দ্রুত তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের নিশ্চয়তা; নিহত পরিবারের জন্য অর্থিক ক্ষতিপূরণ ও আহতদের জন্য আপৎকালীন এবং আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসা; স্থায়ী পুনর্বাসন ও জীবিকোপার্জনের সুযোগ; প্রতি বছর ২১ জুলাই জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন; নিহতদের কবরের নিত্য পরিচর্যা ও শহীদ মর্যাদা প্রদানের মতো দাবি অন্তর্ভুক্ত। তারা বারবার বলেছেন — এগুলো টাকার হিসাব নয়; এটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও ন্যায়বিচারের প্রতীক।

কেউ কেউ বলছেন, সাধারণভাবে এসব আহত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনেকে আজও মানসিক বিভ্রান্তিতে ভুগছেন — শব্দ শোনলেই চিৎকার করে ওঠে কেউ, আবার কেউ পেশাগত জীবনে আর ফিরতে পারবে না বলে আশঙ্কা করছেন পরিবারগুলো। শিক্ষক ও স্কুলস্টাফদের মধ্যে শিক্ষাজীবনে ফিরে আসার অযোগ্য এমন কিছু কেসও রয়েছে। ফলে পরিবারগুলো জোর দিয়ে বলছেন—ইক্ষুদাত্রী স্কুলে পড়াশোনা করতে এসেছে, যুদ্ধক্ষেতুতে নয়; তাই রাষ্ট্রের তৎপর হস্তক্ষেপই প্রত্যাশিত।

সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন: নিহত ও আহত শিশুরা এখনও মানসিক ও শারীরিক পুনরুদ্ধারের মুখে; পরিবারগুলো ন্যায্য ক্ষতিপূরণ, দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবি করছে; তারা চাইছে সরকারি তদন্ত দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে শেষ হোক যাতে দায়ী কেউই ছাড় পায় না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়