মোল্লাহাটে বাগেরহাটের চার সংসীয় আসনের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলছে

আগের সংবাদ

ডাকসু নির্বাচনে সাংস্কৃতিক সম্পাদক পাইকগাছার তিশা

পরের সংবাদ

চৌগাছায় জালিয়াতি করে ইটভাটা দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫ , ৮:৩২ অপরাহ্ণ আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫ , ৮:৩২ অপরাহ্ণ

যশোরের চৌগাছায় জালিয়াতির মাধ্যমে ইটভাটা দখল, নাম পরিবর্তনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভাটার মূল মালিকপক্ষ। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রেসক্লাব চৌগাছা কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ভাটার মূল মালিকপক্ষ চৌগাছা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মাওলানা আলাউদ্দীন ও সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল লতিফ।

সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা জানান, ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ড. মাওলানা আলাউদ্দীন, মাওলানা আব্দুল লতিফ ও তোফায়েল আহমেদ ছিলেন ভাটার যৌথ মালিক। তখন তোফায়েল আহমেদের ছেলে মাহবুবুর রহমান সেখানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।

অভিযোগ করা হয়, ২০১২ সালে ফ্যাসিস্ট সরকারের চক্রান্তে ড. মাওলানা আলাউদ্দীন ও মাওলানা আব্দুল লতিফ কারাবন্দি থাকা অবস্থায় সুযোগ নিয়ে তোফায়েল আহমেদ তার ছেলে মাহবুবুর রহমানকে দিয়ে ভাটাটি জালিয়াতির মাধ্যমে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় দখল করে নেন। পরে ‘প্রচেষ্টা ব্রিকস’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘এইচ এম ব্রিকস’ করা হয়। ভাটার সাইনবোর্ড, দেয়াল লিখন থেকে শুরু করে বিল-ভাউচারসহ সব কাগজপত্রও নতুন নামে তৈরি করা হয়। এ সময় প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলেও কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি, এমনকি থানায় অভিযোগও গ্রহণ করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।

পরে ওই ভাটার সঙ্গে উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের সোলাইমান খানের ছেলে গোলাম রসুলকে অংশীদার করে মাহবুবুর রহমান। তার নেতৃত্বে আবার ভাটার নাম পরিবর্তন করে ‘সানি ব্রিকস’ রাখা হয় এবং তখন থেকে এ পর্যন্ত মূল মালিকরা ভাটার কোনো আয়-ব্যয়ের হিসাব পাননি। ড. মাওলানা আলাউদ্দীন অভিযোগ করেন, এই দখল ও প্রতারণার মূল হোতা মাহবুবুর রহমান ও তার সহযোগী গোলাম রসুল। বহুবার মীমাংসার উদ্যোগ নিলেও তারা কোনো সমাধানে আসেননি। এবং মীমাংসার কথা বললে বিভিন্ন সময় স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দিয়ে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা তাদের ন্যায্য স্বত্ব ফেরত পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ সময় চৌগাছা কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল লতিফ, ড. মাওলানা আলাউদ্দীনের ছেলে কুতুবউদ্দীন রাসেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়