আজ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করছে। দিনটি মুসলমানদের কাছে এক বিশেষ পুণ্যময় দিন, কারণ এদিনই বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ ও ইন্তেকাল করেন। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়ালে তিনি মক্কার কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৬৩ বছর বয়সে একই দিনে ইন্তেকাল করেন।
মহানবী (সা.)-এর আগমনের আগে আরব জাহান অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। মানুষ ন্যায়ের পথ হারিয়ে নানা অন্যায়-অবিচার ও মূর্তিপূজায় লিপ্ত ছিল। তখনকার সেই ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’ যুগ থেকে মানবজাতিকে মুক্তি দিতে আল্লাহতায়ালা তাঁর প্রিয় রাসুল (সা.)-কে পাঠান। নবুয়ত প্রাপ্তির পর তিনি মানবতার মুক্তি, ন্যায় ও সাম্যের দিশা দেখান, যা আজও সমগ্র মানবজাতির জন্য দিকনির্দেশক।
এ দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বাণী দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর বাণীতে বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সবার মধ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি ও ভ্রাতৃত্ব বয়ে আনুক। সমগ্র মুসলিম উম্মাহর ঐক্য সুসংহত হোক এবং মহানবী (সা.)-এর আদর্শ আমাদের জীবনপথের দিশারি হোক।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁর বার্তায় বলেন, মহানবী (সা.) ন্যায়, সাম্য ও মানবতার যে শিক্ষা দিয়ে গেছেন তা আজও সমান প্রাসঙ্গিক। তিনি মদিনার সনদের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের যে অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন, তা আমাদের জাতীয় জীবনে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও আলাদা বার্তা দিয়েছেন। তাঁরা বলেন, সমাজের নিপীড়িত, অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)-এর আদর্শ অনুকরণীয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করলেই মানবজাতির প্রকৃত কল্যাণ সম্ভব।
পবিত্র দিনটি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিশেষ কর্মসূচি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলসহ নানা আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ দেশে সরকারি ছুটি পালন করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।