মানবসভ্যতার দীর্ঘ ইতিহাসে অসংখ্য মহামানবের আবির্ভাব ঘটেছে। তবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে সমগ্র বিশ্বের অখণ্ড স্বীকৃতি পেয়েছেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তিনি ছিলেন বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত, সত্য ও ন্যায়ের আলো দিয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীকে আলোকিত করা এক অনন্য ব্যক্তিত্ব।ষষ্ঠ শতাব্দীতে যখন আরব সমাজ অজ্ঞতা, কুসংস্কার, মূর্তিপূজা, নারী নির্যাতন ও নৈতিক অবক্ষয়ে নিমজ্জিত ছিল, তখন মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নবীজী (সা:) মানবতার দিশারী হয়ে আবির্ভূত হন। তিনি একদিকে যেমন তাওহীদ ও আল্লাহর একত্ববাদ প্রচার করেছেন, অন্যদিকে সামাজিক সংস্কার, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন।হযরত মুহাম্মদ (সা:) ছিলেন আদর্শ পিতা, স্বামী, রাষ্ট্রনায়ক, বিচারক এবং সর্বোপরি একজন মহান শিক্ষক। তাঁর জীবন ছিল মানবতার জন্য এক জীবন্ত দৃষ্টান্ত। মদিনায় ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছেন— কীভাবে ন্যায়, সমতা ও ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে একটি কল্যাণকর সমাজ গড়ে তোলা যায়।চৌদ্দশত বছরেরও বেশি সময় আগে প্রদত্ত তাঁর শিক্ষা আজও সমান প্রাসঙ্গিক। দয়া, সহমর্মিতা, সততা, ন্যায়পরায়ণতা, পরোপকারিতা ও মানবসেবার যে মহান আদর্শ তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন, তা শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য চিরন্তন দিকনির্দেশনা হয়ে আছে।বিশ্বশান্তি, মানবকল্যাণ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের একমাত্র পথ হলো হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করা। তিনি সত্যিই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, যাঁর শিক্ষা ও আদর্শ অমর হয়ে থাকবে যুগে যুগে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।