বার্ন ইনস্টিটিউটে দীর্ঘ লাইন রক্ত দিতে উপচেপড়া ভিড়; পুলিশ মাইকিং করে খুঁজছে নির্দিষ্ট গ্রুপের রক্ত

আগের সংবাদ

পাইকগাছায় বনবিবি'র বৃক্ষরোপন কর্মসুচি অব্যহত

পরের সংবাদ

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: পাইলট তৌকিরের শেষ চেষ্টা, ১৯ প্রাণহানি, ১৬৪ আহত; উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২৫ , ৬:৪৪ অপরাহ্ণ আপডেট: জুলাই ২১, ২০২৫ , ৬:৪৪ অপরাহ্ণ

কুর্মিটোলা ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের ১২ মিনিটের মধ্যেই যান্ত্রিক ত্রুটি, জনবিরল এলাকায় নিতে গিয়েও ব্যর্থ

 

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণকালে বিধ্বস্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৯ জনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে বিমানটিকে রক্ষা ও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম বীরত্বপূর্ণ চেষ্টা চালিয়ে যান বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

 

দুর্ঘটনার কারণ ও পাইলটের আত্মত্যাগ

আজ সোমবার (২১ জুলাই, ২০২৫) এক বার্তায় আইএসপিআর এ তথ্য জানিয়েছে। বার্তায় জানানো হয়, কুর্মিটোলাস্থ বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয় বিমানটি। দুর্ঘটনা মোকাবিলায় এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম বিমানটিকে ঘনবসতি এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন।

কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে অর্থাৎ উড্ডয়নের মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যেই বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল এবং কলেজের দোতলা একটি ভবনে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়।

 

হতাহতের সংখ্যা ও জরুরি চিকিৎসা

এই আকস্মিক দুর্ঘটনায় পাইলটসহ ১৯ জন নিহত এবং ১৬৪ জন আহত হয়েছেন। আহত সবাইকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারসহ অ্যাম্বুলেন্সের সহায়তায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এবং নিকটস্থ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য দ্রুত স্থানান্তর করা হচ্ছে।

 

বিমান বাহিনীর প্রতিক্রিয়া ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতি

বার্তায় দুঃখ প্রকাশ করে আরও জানানো হয়, অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গভীরভাবে মর্মাহত এবং হতাহতদের সর্বাত্মক চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতায় তৎপর রয়েছে। বিমান বাহিনী প্রধান সরকারি সফরে দেশের বাইরে থাকায়, সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন), বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।

সেনাবাহিনী প্রধান, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ সামরিক বাহিনীর এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারাও বিষয়টিতে কাজ করছেন।

 

উদ্ধার তৎপরতা ও তদন্ত কমিটি

সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব এবং ফায়ার সার্ভিস দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি উত্তরণের সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বলেও বার্তায় জানায় আইএসপিআর। দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে বিমান বাহিনীর একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলেও জানানো হয়।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো দেশ শোকে আচ্ছন্ন এবং পাইলটের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়