রাজধানী ঢাকার কাকরাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সঙ্গে সংঘটিত ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বর্তমান সরকার গঠিত হয়েছে ছাত্র-০জনতার অসীম আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে সরকারের একজন উপদেষ্টার ওপর হামলাকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব রাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হিসেবে দেখছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যে কেউ নিজের দাবি জানাতে পারেন—এটি নাগরিকদের মৌলিক অধিকার।

তবে অধিকার আদায়ের আন্দোলনে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির উপর হামলা পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের দুর্বৃত্তায়ন রীতিকে পুনরায় উসকে দেবে। আন্দোলনের নামে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা–সহিংসতার প্রচেষ্টা রুখে দিতে হবে। আমরা তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং হামলাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করছি।’

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বৈশ্বিক আন্দোলনের মতোই বাংলাদেশে দাবি আদায়ের আন্দোলনও সরলরৈখিক নয়।

তার আছে নানান বাঁক। সাফল্য-ব্যর্থতার ইতিহাস। কিন্তু দাবি আদায়ের আন্দোলনের কোন পর্যায়ে এমন বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা গ্রহনযোগ্য নয়। ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছানোর হাতছানি সত্ত্বেও নানামুখী ষড়যন্ত্রে আবার মাথা ছাড়া দিয়ে উঠছে।

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অনেক কষ্টার্জিত সাফল্য ধরে রাখতে অব্যাহত চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকল পক্ষের বৃহত্তর ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।’

পৃথক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিএমইউজে হাউজিং কমিটির চেয়ারম্যান মুস্তাফা নঈম ও সিএমইউজে সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান।