চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ে চার বন্ধু মিলে ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া এক বন্ধুকে মারধরের পর আহত অবস্থায় ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ঐ চার বন্ধুকে জিজ্ঞাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে।
আজ বুধবার (৩০শে এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে নগরের হামিদচরের নদী থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত স্কুল পড়ুয়া ছাত্রের নাম রাহাত ইসলাম (১২)। সে চান্দগাঁওয়ের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব ফরিদের পাড়ার মো. লিয়াকত আলীর ছেলে ও নগরের সানোয়ারা ভয়েস স্কুলের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দীন। তবে আটককৃতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
জানা যায়, ২৯শে এপ্রিল স্কুল ছুটিতে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে হারিয়ে যায় রাহাত। এসময় ৪ বন্ধু মিলে শত্রুতার জেরে পূর্বের একটি ঘটনা নিয়ে তাকে মারধর করে নদীতে ফেলে দেয়। সকালে স্থানীয়রা লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, স্থানীয়রা সকাল ৭ টার দিকে হামিদচরে একটি লাশ দেখে খবর দিলে রাহাতের লাশটি পুলিশ উদ্ধার করে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। তদন্তের জন্য জিজ্ঞাবাদে তার চার বন্ধুকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। খুনের ঘটনায় চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন বলেন, চার বন্ধু মিলে এক বন্ধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চারজনকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্তের পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।