সাতক্ষীরায় সাংবাদিকের হুমকিদাতা ও দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন।

আগের সংবাদ

বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ বন্ধে ২১৫ বছর লাগবে

পরের সংবাদ

মধ্যরাতে পুলিশের গুলিতে পুলিশ সদস্য খুন

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২৪ , ২:৫৫ পূর্বাহ্ণ আপডেট: জুন ৯, ২০২৪ , ২:৫৮ পূর্বাহ্ণ

শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে এক পুলিশ সদস্য অন্য একজন পুলিশকে গুলি করে হত্যা করেছে। নিহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম মনিরুল (৩৬ ৯৮১)। আর গুলি করেছে পুলিশ কনস্টেবল কাউসার আহমেদ (৮১২৬)।

ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর গুলশানে ঢাকাস্থ ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে।

কনস্টেবল মনিরুল ও কাউসার দুজনই ‘ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি জোনে’ কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় কাউসার আহমেদকে হেফাজতে নিয়েছে গুলশান থানা-পুলিশ।

এ সময় পুলিশ কনস্টেবল কাউসার আহমেদের গুলিতে জাপান দূতাবাসের ড্রাইভার সাজ্জাদ হোসেন শাহরুখ (তিনটে গুলি লেগেছে) এবং একজন পথচারী মারাত্মক জখম হয়েছে। আহত দুইজনকে জরুরি ভিত্তিতে পাশের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসির ধারণা প্রাথমিকভাবে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ওই পুলিশ সদস্য এ ঘটনা ঘটায়। ওসি মাজহার বলেন, কাউসার আহমেদকে নিরস্ত্র করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম বলেন বলেন, শনিবার দিবাগত রাত ১২টা পাঁচ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ কনস্টেবল কাউসারের এলোপাথাড়ি গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল নিহত হন। এ ছাড়া জাপান দূতাবাসের একজন গাড়িচালক (সিভিল স্টাফ) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রিফাত রহমান আরো বলেন, কনস্টেবল কাউসারকে নিরস্ত্র করে গুলশান থানায় নেওয়া হয়েছে। অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনার কারণ জানাতে পারেননি তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী একজন গণমাধ্যমকর্মী হাসান আহমেদ বলেন, তারা ডিউটি শেষ করে অফিসের গাড়িতে ফিরছিলেন। হঠাৎ ফিলিস্তিনী দূতাবাসের সামনে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পুলিশের এক সদস্যকে পড়ে থাকতে দেখেন। এতে তাদের চালক গাড়ির গতি থামাতেই পুলিশের একজন সদস্য এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময়ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান। তবে কি নিয়ে এমন ঘটনা, তা তাৎক্ষণিক বুঝতে পারেননি, ঘটনা জানারও পরিস্থিতি ছিল না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ফিলিস্তিন দূতাবাসের এক নিরাপত্তা রক্ষী বলেন, ঘটনার সময় আমরা দূতাবাসের ভেতরে ছিলাম। হঠাৎ করে ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলি শব্দ শুনে আমরা বাহিরে আসি। বাহিরে আসার পর কাউসারকে দেখি ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আর একটু দূরেই পড়ে রয়েছে মনিরুলের মরদেহ। তখন আমরা কাউসারকে জিজ্ঞেস করি কি হয়েছে। তখন তিনি বলে শালা (মনিরুল) নাটক করতাছে এমনি মাটিতে পড়ে রয়েছে। এই কথা বলে কাউসার দূতাবাসের বিপরীত পাশে রোডে চলে যায়‌। এরই মধ্যে সবাই বুঝে উঠে যে কাউসার মনিরুলকে গুলি করেছে। এরপর ঘটনাস্থলে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীরা কাউসারকে আটক করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়