সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর প্রাণকৃষ্ণ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সরকারের সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এম.পিও নীতিমালা ২০২১ প্রবিধান অনুযায়ী ২৩ নভেম্বর২০২৩ খ্রি: তারিখে “দৈনিক পত্রদূত” ও “দৈনিক জনকন্ঠ” পত্রিকার মাধ্যমে উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন স্কুল কতৃপক্ষ।২৪ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রি: তারিখে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজয় কুমার মন্ডল স্বাক্ষরিত পত্রে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আহবান জানানো হয়।
সরকারের সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এম.পিও নীতিমালা ২০২১ প্রবিধান চলমান কার্যক্রমের সাথে ১০ জানুয়ারি পরিপত্রের মাধ্যমে অনুসরণীয় নির্দেশমালা ও ২১ জানুয়ারি মাউশি মহাপরিচালক এর পরিপত্র মেনে চলতে বলা হয়।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সদস্য সচিবের নেতৃত্বে বাছাই কমিটি কতৃক যাচাই-বাছাই শেষে পত্র পেয়ে ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ খ্রি: তারিখে নিয়োগ বোর্ডের লিখিত, মৌখিক, ও ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।চলমান নিয়োগ কার্যক্রমে ১০ জানুয়ারী অনুসরণীয় নির্দেশমালা ও ২১ শে জানুয়ারী মাউশি মহা পরিচালকের পরিপত্র যথাযথ অনুসরণ পূর্বক নিয়োগ পরীক্ষায় “কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর” পদে মেধা তালিকায় মধুসূদন মন্ডল ১ম স্হান অধিকার এবং আয়া পদে তাপসী সরদার ১ম স্হান অধিকার করলে নিয়োগ বোর্ড নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন।ডিজি প্রতিনিধি,জেলা প্রশাসক প্রতিনিধিসহ নিয়োগ বোর্ড সর্বোচ্চ মেধাভিত্তিক,স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষতার সাথে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ সম্পন্ন করেছেন বলে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার সময়ে জানান।
নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি দেবদাস মন্ডল ও সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক অজয় মন্ডল যৌথভাবে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন।দ্রুত নিয়োগ পত্র প্রদান ও যোগদান সম্পন্ন করবেন বলে কিছু নির্দেশনা দেন।নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য সুপারিশ করলেও তিনি অজ্ঞাত কারনে টালবাহানা ও নিয়োগ দিতে গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।চাকুরী প্রার্থীদ্বয় ম্যানেজিং কমিটির সকল কর্মকর্তা ও সাধারণ সদস্যদের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেও কোন সদুত্তর পায়নি।নিরুপায় হয়ে মধুসূদন মন্ডল ও তাপসী সরদার কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় বরাবর প্রতিকারের জন্য আবেদন করেন।
আবেদনের অনুলিপি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক,জেলা শিক্ষা অফিসার,যুগ্ম পরিচালক এনএসআই,সহকারী পরিচালক ডিজিএফআই,সাতক্ষীরা ডিএসবি,কালিগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার,নিয়োগ কমিটির সভাপতি/সদস্য সচিব বরাবর প্রেরণ করলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে নিয়োগ কার্যক্রম সুসম্পন্ন করার নির্দেশনা ও দায়িত্ব দেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ১৪ মে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে লিখিত পত্রের মাধ্যমে ১৬মে উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে জরুরী মত বিনিময় সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য বললেও প্রধান শিক্ষক হাজির হননি।
কখনও তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে অসুস্হ্যতার নাটক করছেন,কখনও তিনি কয়রা উপজেলায় আত্মগোপন করছেন,কখনও নিজের বাড়িতে আত্মগোপন করে বলছেন বাড়িতে নেই।বিভিন্ন টালবাহানা করে অজ্ঞাত কারনে প্রশাসনকে এড়িয়ে যাচ্ছেন।প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশ উপেক্ষা করে আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও অস্বাভাবিক আচরণ করছেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।জানা যায়,১৬ মে থেকে ভৌতিক কারনে প্রধান শিক্ষক কোন প্রকার ছুটি ছাড়াই নিজেকে আত্মগোপন করে পলাতক রয়েছে।তার মোবাইল নম্বর দুটি সার্বক্ষনিক বন্ধ সহ কারোর সাথে যোগাযোগ নেই,স্কুলের দায়িত্ব কারোর উপর দেননি বলে জানান বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।বিদ্যালয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সুবাদে ও উপবৃত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ প্রধান শিক্ষকের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করতে না পারায় তারা হতাশ হচ্ছেন বলে জানান।বিদ্যালয়ের পিওন গণেশ সরদার জানান,”হেডস্যার কারোর সাথে যোগাযোগ রাখছেন না,স্কুলে যোগদান করছেন না,দেখাও দিচ্ছেন না।
তবে ২৫শে মে শনিবার রাত্রে তাঁর বাড়িতে যেয়ে তাকে সাথে নিয়ে স্কুলে যান,স্কুলের পরীক্ষার খাতা ও কিছু নথি নিয়ে বাড়িতে ফিরে যান তারপর থেকে তাকে আর দেখা যাচ্ছে না”।বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অভিযোগ করেন,স্কুলে যোগদান না করার কারনে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ ক্ষতিগ্রস্ত ও বিলম্ব হচ্ছে।সভাপতির সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ রাখছেন না,ফোন করলে ধরেন না।কারন হিসেবে তিনি জানান,স্কুলের দুটি নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম গড়িমসি করতেই তিনি এহেন ভৌতিক,ন্যাক্কারজনক ও খামখেয়ালি আচরণ করছেন।বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি,প্রশাসন,আইন শৃঙ্খলা বাহিনী,মাননীয় সংসদ সদস্য কারোর তিনি তোয়াক্কা করছেন না,মান্য করছেন না।
বিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য এস এম আতাউল হক দোলন অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্হানীয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে একাধিকবার ফোন করে বিষয়টি স্হানীয়ভাবে মীমাংসা করার নির্দেশ দিলে তিনিও মীমাংসা করেননি।স্হানীয় সংসদ সদস্য প্রধান শিক্ষককে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি বলে জানা যায়।এর আগে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় দীপংকর দাশ দিপু স্হানীয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে তাঁর কার্যালয়ে ডেকে এবং পরবর্তীতে একাধিকবার জানিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য নির্দেশনা দিলেও তিনি কোন উদ্দ্যোগ নেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্হানীয় কয়েকজন জানান,”বিদ্যালয়ের সর্বশেষ দুটি নিয়োগে তাদের পছন্দের ক্যান্ডিডেট ১৬ লক্ষ টাকায় কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে আশিক মাহমুদ এবং ১২ লক্ষ টাকায় আয়া পদে মৌমিতা সরদারের পাতানো নিয়োগ ব্যর্থ হওয়ায় স্হানীয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম,বিদ্যোতসাহী সদস্য সমীর মন্ডল,সাবেক সভাপতি মনিরামপুর কলেজের শিক্ষক সুব্রত সরদার,টিআর শিক্ষক কল্যান সরকার পারস্পরিক গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।এই চারজন উভয়ই পারস্পরিক প্রভাব সৃষ্টি করে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে নিয়োগ কার্যক্রমে বাধাবিঘ্ন সৃষ্টি করছেন”।স্হানীয়রা আরো জানান,”নিয়োগকে কেন্দ্র করে বর্তমানে দুটি গ্রুপ সৃষ্টি হলেও তারা সকলেই একটি গ্রুপে মিলেমিশে ছিলো।উক্ত নিয়োগটি স্বচ্ছ,মেধাভিত্তিক ও নিরপেক্ষ হওয়ার কারনে তাদের পাতানো প্রার্থী নিতে ব্যার্থ হওয়ায় দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছে”।
এদিকে প্রধান শিক্ষক নিজেই ১৩ লক্ষ টাকায় আরেক ক্যান্ডিডেট সুমন সরদারকে নিতে ব্যার্থ হওয়ায় বিভিন্ন নাটকীয় পরিবেশ সৃষ্টি করেই চলেছেন।বিদ্যোতসাহী সদস্য সমীর মন্ডল নিয়োগে সুপারিশ প্রাপ্ত প্রার্থীদের কাছে ১০ লক্ষ ও ৭ লক্ষ টাকা উৎকোচ দাবি করেন,টাকা দিলে মামলা তুলে নিবে,টাকা না দিলে মামলা তুলবেন না,ঝামেলা আরো সৃষ্টি করবেন বলে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বিভিন্ন মাধ্যমে।সাবেক সভাপতি সুব্রত সরদারও মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করছেন প্রতিনিয়ত।টাকা দিলে নিয়োগ করাবেন,টাকা না দিলে সাতক্ষীরার এক বন্ধুর ভয় দেখান,কখনও শিক্ষা বোর্ডের অজ্ঞাত বন্ধুর ভয় দেখান,কখনও সাতক্ষীরা সহকারী জজ আদালতের অজ্ঞাত বন্ধুর ভয় দেখান।বিভিন্নভাবে সে ভয় দেখিয়ে হয়রানি করছেন।রাতারাতি বিষ্ণুপুর এলাকায় গিয়ে জয়পত্রকাঠী জৈনক ব্যাক্তির বাড়িতে সন্ধ্যায় প্রবেশ করে ভোরে মনিরামপুর চলে যান।জনমনে এ বিষয়ে ভীতিকর পরিবেশ ও আতংক সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা যায় সুব্রত সরদারের ভারত বাংলাদেশ অবৈধ হুন্ডির ব্যবসা রয়েছে।সে ভারতের গোবর ডাঙার নাগরিক,আবার বাংলাদেশের মনিরামপুর কলেজের শিক্ষক।স্ত্রী শিউলি সরকার,পুত্র সুনেন্দু সরদারসহ পুরো পরিবার ভারতের গোবর ডাঙ্গা বাওড় এলাকার কালি মন্দির সংগঠনী ক্লাবের পাশে ডাক্তারের বাড়ির পাশে দুইতলা বাড়ি করেছেন।বাংলাদেশের সকল স্হাবর অস্হাবর সম্পত্তি বিক্রি করে অবৈধভাবে ভারতে হুন্ডি ব্যবসার মাধ্যমে টাকা পাচার করেছেন।সুব্রত সরদার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন উক্ত নিয়োগ বাণিজ্য থেকে প্রধান শিক্ষক অজয় কুমার মন্ডলকে ঋণের ১০ লক্ষ টাকা উৎকোচ দিয়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করাবেন,বিনিময়ে তাকে কিছু টাকা দিতে হবে।এছাড়া সুব্রত সরদার আইন বহিঃভূতভাবে প্রতিনিয়ত তার কলেজ ফাঁকি দিয়ে ছুটি ছাড়াই মাসের পর মাস ভারতে থাকেন।যেগুলো রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ।
অনুসন্ধানে জানা যায়,অজয় কুমার মন্ডলের স্ত্রী কামিনী মন্ডল তাকে ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে,পুত্র অভিজিত মন্ডল ভারতের পশ্চিমবাংলার নদীয়া জেলার বানাঘাঁট মহাকুমার গাংনাপুর এলাকায় প্রধান শিক্ষকের নিজ বাড়িতে বসবাস করছেন।বর্তমানে শ্বশুর বাড়িতে শ্বাশুড়িকে সাথে নিয়ে থাকেন প্রধান শিক্ষক অজয় মন্ডল,শ্বশুর এ বিষয়ে সন্ধিহান হয়ে অনত্র চলে যান।প্রধান শিক্ষক অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকে অদ্যাবধি প্রায় ৪০/৪২ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেছে।এদেশে তার ব্যাংকে কোন টাকা নেই,এমনকি তার বেতন রুপালী ব্যাংক নলতা,কালিগঞ্জ,সাতক্ষীরা শাখা উত্তোলন করে।কিন্তু উক্ত শাখায় তার নামে ৮ লক্ষ টাকা ঋণ উত্তোলন করা আছে।উক্ত ঋণের জন্য বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক কল্যান সরকার জামিনদার আছে,সে সব জানে।স্কুলের ক্রীড়া ও টিআর শিক্ষক কল্যান সরকার আক্ষেপ করে জানান,”সাবেক সভাপতি সুব্রত সরদার আমার কাছ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাওলাত নিয়েছে এক বছর হল এখনও পরিশোধ করেনি,হেডস্যার ৫০ হাজার টাকা হাওলাত নিয়েছে,নলতা রুপালী ব্যাংকে তাঁর ৮ লক্ষ টাকার জামিনদার আমি,তাছাড়া আমার নিয়োগও করেছিলো।এটা অন্যায় জেনেও তাদের পক্ষ নিয়ে আমি তাদের কথা না শুনলে আমার পাওনা ২ লক্ষ টাকা ফেরত পাবোনা”।
অনুসন্ধানে জানা যায়,ব্যাংক ঋণের টাকাসহ এসমস্ত টাকা পাচার করে সে ভারতে জায়গা কিনে সেখানে বাড়ি করেছে।বেতনের মাসিক টাকাগুলোও ভারতে পাচার করে থাকে।বিদ্যালয়ের আয় ব্যায় এর হিসাব রশিদ না থাকায় বিদ্যালয়ের টাকা দূর্ণীতির উপায়ে আর্থিক তচ্ছরুপের সাথে জড়িত।সুব্রত সরদার ও অজয় মন্ডল উভয়ই দেশের সম্পদ বিক্রি করে চোরাই পথে হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাঁচার করে যা রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ।তাদের চাকুরী কয়েকবছর পর অবসর হলেই পেনশনের মোটা অংকের টাকা নিয়েই দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যাবে।বর্তমানে বিষ্ণুপুর স্কুলের নিয়োগ বাণিজ্য করতে উন্নয়ন ও পরিবেশ নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।যা এলাকাজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণার ঝড় তুলেছে।স্হানীয় জনগন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জনস্বার্থে।
এ প্রতিবেদক সর্বশেষ বিদ্যালয়ের সভাপতি খুলনা সবুরন্নেচ্ছা মহিলা কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল দেবদাস মন্ডলকে জানালে তিনি অভিযোগ করেন,”স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুলে যোগদান করছেন না,যোগাযোগ করছেন না,তিনি সভাপতি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে কোন ছুটি অনুমোদন করেননি,ভৌতিক কারনে সে স্কুল পলাতক রয়েছে।বিদ্যালয়ের দুটি নিয়োগ নিয়ে আমি প্রশাসনিক চাপে আছি,প্রধান শিক্ষকের গড়িমসি আর অসহযোগিতায় দুটি চাকুরীপ্রার্থীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা মোটেও কাম্য নয়,এটা অমানবিক।তারা মেধায় চাকুরী পেয়েছে,তাদের নিয়োগ দিয়ে যোগদান করাতে হবে।তাছাড়া তাদের চাকুরীর বয়সসীমা শেষ।আমার নীতি,নৈতিকতা ও দায়িত্ব রয়েছে।এভাবে চলতে থাকলে আমাকে হয়তো প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দারস্থ হয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে”।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দেবদাস মন্ডলসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ নিয়োগ সুপারিশ প্রাপ্তদের দ্রুত নিয়োগ ও যোগদান করাতে চান।এছাড়া অত্র এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ স্কুলের প্রধান শিক্ষক অজয় মন্ডল,সমীর মন্ডল ও সুব্রত সরদারকে ধিক্কার ও তীব্র নিন্দা জানিয়ে সরকার,প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ চেয়ে জনস্বার্থে দ্রুত এ নিয়োগ কার্যক্রম বাস্তবায়ন চান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।