গ্রাম থেকে হারিয়ে যাচ্ছে লেখাপড়া।এখন আর সন্ধ্যার পর এক জনের পড়া শুনে আরেকজন পাল্লা দিয়ে বই পড়ে না। কোন মা-বাবা তার সন্তানকেও বলে না যে অমুক পড়তেছে তুই বসে আছিস!অথচ ৮/১০ বছর আগেও সন্ধ্যার পর চারপাশ থেকে বিভিন্ন স্বর ভঙ্গিতে বই পড়ার আওয়াজ শোনা যেত। পরীক্ষা কাছাকাছি থাকলে তো কথাই নেই।
কোন সহপাঠী বন্ধু দিনে ও রাতে কতক্ষণ পড়ালেখা করে গোপনে খোঁজ নিয়ে তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করা হতো। সবচেয়ে খারাপ ছাত্রটিও রাত-দিন পড়তো। যে কোন বোর্ড পরীক্ষার আগে গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে পড়ার চর্চাটাও আর নেই। এ চর্চাটার জন্যই অ্যালার্ম ঘড়ির আলাদা একটা কদর ছিল।বোর্ড পরীক্ষার আগে আল-ফাতাহ,পাঞ্জেরী, পপি গাইড,শিওর সাকসেস,টপ ব্রিলিয়ান্ট সাজেশন্সেরও খুব কদর ছিল।
আগের বছর পাশ করা ভাই বোনদের কাছে সাজেশনস নিয়ে চুল ছেঁড়া বিশ্লেষণ চলতো।মাত্র ৮/১০ বছরের ব্যবধানে সবই প্রায় বিলীন হয়ে গেল। সন্ধ্যার পর ছাত্র-ছাত্রীদের বাজারে তো দূরের কথা ঘরের বাইরে দেখলেই সবাই অবাক হতো,শাসন করতো।এখন অনেক রাত পর্যন্ত ছেলেরা বাজারে আড্ডা দিচ্ছে,কেউ কিছু বলছে না। সন্ধ্যার পর দল বেঁধে নামধারী ছাত্ররা মোবাইলে ব্যস্ত।
কোথাও কোন পড়ার শব্দ নেই।গ্রুপ চ্যাটিং,অনলাইন/অফলাইন গেমস,পাব্জি,ফ্রী ফায়ার, টিকটক,চুলের বিভিন্ন স্টাইল কার্টিং করে পাড়া-মহল্লায় ও বাজারে আড্ডাবাজি,গ্রুপিং,মিথ্যাচার,নিয়ম ভাঙ্গা,বেয়াদবী সহ সমাজের সবচাইতে খারাপ কতগুলি বকা ভাষায় পরিনত হয়েছে।সুশীল সমাজের দাবি যদি ছেলেমেয়েদের আবার বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট করা যায় তাহলে সুদিন ফিরে আসবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।